শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় মেহেদী হাসান খান (১৮) নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুলাভাইর বিরুদ্ধে।
রোববার (২ মে) রাতে উপজেলার মোক্তারের চর ইউনিয়নের মূলপাড়া ছাপরআলী বেপারীকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সে উপজেলার মূলপাড়া ছাপরআলী বেপারীকান্দি গ্রামের আলমগীর খানের ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন, একই গ্রামের মকবুল হোসেন খানের ছেলে জামির হোসেন জামু খান (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, জামু খান সন্ধ্যায় প্রতিবেশী জিতু বেপারীর উঠানে পারিবারিক কলহ নিয়ে তার স্ত্রী সোনালী আক্তারকে বকাঝকা করছিলেন। একপর্যায়ে জামু খান তার স্ত্রী সোনালীকে তেরে মারতে গেলে তখন সোনালীর চাচাতো ভাই মেহেদী হাসান বাধা দেয়। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে জামু খান তার শালা মেহেদীর পেটে ছুরিকাঘাত করে। পরে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা মেহেদীকে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এ সময় অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু বলে ঘোষণা করেন।
নিহত মেহেদীর বাবা আলমগীর খান বলেন, আমার ছেলে মেহেদী আমার ওয়ার্কশপের দোকানে কাজ করত। আমার ভালো ছেলেকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জামু খান হত্যা করেছে। আসামিকে আইনের আওতায় এনে ফাঁসি দেওয়া হোক।
নড়িয়া থানার তদন্ত ওসি (ভারপ্রাপ্ত ওসি) আবীর হোসেন জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মেহেদীর মরদেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত জামু খান ও তার পরিবারের লোকজন পলাতক। তাদের আটকের চেষ্টা করছি। এঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
রাজশাহীর সময় / এম আর