নিউ ইয়র্ক শহরে বিনাভাড়ায় যাত্রী চলাচলে গণপরিবহনের ক্ষতি হয়েছে ৫০০ মিলিয়ন ডলার। মেট্রোপলিটন ট্রানজিট অথরিটির (এমটিএ) এ তথ্য জানিয়েছেন। বাসে প্রতি ৩ জন যাত্রীর একজন যাত্রীই বিনাভাড়ায় উঠে বসে। সাবওয়ে ট্রেনে এ হার শতকরা ১২ ভাগ। এমটিএ চেয়ারম্যান ও সিইও জানো লাইবার এ তথ্য প্রকাশ করেছেন। এ খবর জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস।
এসোসিয়েশন ফর এ বেটার নিউ ইয়র্ক এর ব্রেকফাস্ট সভায় এমটিএ চেয়ারম্যান বলেন, এ ধারা অব্যাহত থাকলে এমটিএ এর জন্য কবর রচিত হবে। এজন্যই ভাড়া না দেয়ার প্রবণতা রুখতে নতুন পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।
ব্রেকফাস্ট সভায় বক্তারা বলেন, সাবওয়েতে যারা ক্রাইম করে তাদের অধিকাংশই বিনাভাড়ায় ট্রেনে উঠে পড়ে। এদেরকে আটকাতে পারলে সাবওয়ের ক্রাইমও অনেক কমে যাবে। স্টেট এটর্নি জেনারেল অফিসের তথ্যানুসারে বিনাভাড়ার যাত্রীদের শতকরা ৭০ ভাগই ব্ল্যাক ও হিসপানিক কমিউনিটির।
এদিকে, লাগোর্ডিয়া এয়ারপোর্ট যেতে কিউ-৭০ বাসে ভাড়া লাগবে না। জ্যাকসন হাইটস থেকে এই বাসে লাগোর্ডিয়া বিমানবন্দরে যাতায়াত ফ্রি হয়ে গেল। গত বুধবার নিউইয়র্ক স্টেট গর্ভনর ক্যাথি হোকল এমটিএ’র বোর্ড মিটিংয়ে এ ঘোষণা দেন। আগামী ১ মে রোববার থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। লাগোর্ডিয়া থেকে কুইন্সের জ্যাকসন হাইটস (৭৪ স্ট্রিট ও ব্রডওয়ে) হয়ে উডসাইডের ৬১ স্ট্রিট পর্যন্ত চলাচল করে কিউ-৭০ বাস। ৬১ স্ট্রিট থেকে লাগোর্ডিয়া পর্যন্ত মাঝে শুধু জ্যাকসন হাইটসের স্টপ রয়েছে।
বোর্ড সভায় গর্ভনর বলেন, এ ব্যবস্থাটি সাময়িক। লাগোর্ডিয়া এয়ারপোর্ট থেকে সিটির অন্যত্র যাতায়াতের সরাসরি ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত এই কিউ-৭০ বাস ফ্রি চলবে। এ বাসটি উডসাইডের লং আইল্যান্ড রেইল রোড, জ্যাকসন হাইটসে ই, এফ, আর, সেভেন ও এম ট্রেনের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করছে। দিনে ২৪ ঘন্টা চলে এ বাস। বাসটিতে এয়ারপোর্টের বি, সি ও ডি টার্মিনালে যাত্রী উঠানামা করে।
এদিকে এয়াপোর্টের সাথে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপনের জন্য স্টেট ও এমটিএ’র কাছে ১৪টি প্রস্তাবনা রয়েছে। এর মধ্যে এয়ার ট্রেন, নতুন বাস রুট ও ফেরি সার্ভিস প্রভৃতি রয়েছে।