২০১৮ এবং ২০২০ সালে র্যাব-৭, পতেঙ্গা, চট্টগ্রামের কাছে বাঁশখালী, মহেশখালী, কুতুবদিয়া এবং পেকুয়া উপকূলীয় এলাকা হতে আত্মসমর্পণকৃত ৭৭ জন আলোর পথের অভিযাত্রীদের মাঝে পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে উপহার সামগ্রী বিতরণ এবং তাদের বর্তমান জীবন যাপনের উপর একটি বিশেষ মতবিনিময় সভা করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
র্যাব-৭, চট্র্রগ্রাম পরিচালক সিনিঃ সহকারী পরিচালক(মিডিয়া) মোঃ নূরুল আবছার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, র্যাব-৭, চট্টগ্রামের বিশেষ অভিযান এবং কঠোর পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গত ২০১৮ সালের ৪৩ জন কুখ্যাত জলদস্যুকে আত্মসমর্পণ করাতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে সময়ে বিভিন্ন সহযোগিতার মাধ্যমে তারা স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করে। আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যুদের সমাজে স্বস্তির সাথে স্বাভাবিক জীবনযাপন ও র্যাবসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কর্তৃক সহযোগিতার মনোভাবের কথা বিবেচনা করে গত ২০২০ সালে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম আরও ৩৪ জন জলদস্যুকে আত্মসমর্পণ করাতে সক্ষম হয়।
উল্লেখিত জলদস্যুদের আত্মসমর্পণের পর থেকে সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে ঈদ সামগ্রী উপহার এবং প্রণোদনা প্রদান করা হয়য়।
এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় মহাপরিচালক, র্যাব ফোর্সেস এর পক্ষ থেকে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, বাঁশখালী এবং পেকুয়া উপকূলীয় অঞ্চলের আত্মসমর্পণকৃত আলোর পথের অভিযাত্রীদের মাঝে র্যাব-৭, পতেঙ্গা, চট্টগ্রামের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন হল, পেকুয়ায় পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে ঈদ শুভেচ্ছা ও উপহার সামগ্রী বিতরণ এবং তাদের বর্তমান জীবন যাপনের উপর একটি বিশেষ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
এসময় লেঃ কর্নেল এম এ ইউসুফ, পিএসসি, অধিনায়ক, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম; মেজর মেহেদী হাসান, কোম্পানি কমান্ডার; উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পেকুয়া উপজেলা; সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোঃ নূরুল আবছার, গণমাধ্যম কর্মকর্তা; সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ রায়হান উদ্দিন মুরাদ, অপস অফিসার, র্যাব-৭, চট্টগ্রাম, অফিসার ইনচার্জ পেকুয়া থানাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যুরা র্যাবের এরুপ মানব কল্যানমূলক কর্মকান্ডে গভীর সন্তুষ্টি প্রকাশ ও অপকর্ম থেকে ফিরে এসে সুন্দরভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপনের অনুপ্রেরণা যোগানোর কথা প্রকাশ করেছে ।
রাজশাহীর সময় / জি আর