নিউমার্কেটে নাহিদ হত্যার ঘটনায় ঢাকা কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার
অনলাইন ডেস্ক :
-
আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৪-২০২২
নিউমার্কেটে নাহিদ হত্যার ঘটনায় ঢাকা কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার
রাজধানীর নিউমার্কেটে ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় কুরিয়ার সার্ভিসকর্মী নাহিদকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ঢাকা কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের গোয়ন্দো শাখা (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে ডিবির বিফ্রিংয়ে গ্রেফতারের তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বুধবার (২৭ এপ্রিল) ডিবির পৃথক অভিযানে দুজন গ্রেফতার হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ইমন ও কাইয়ুম। এদের মধ্যে ইমনকে ঢাকা কলেজ থেকে এবং কাইয়ুমকে পঞ্চগড় থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, নিহত নাহিদ গত ১৯ এপ্রিল বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্যবসায়ী-কর্মচারীদের পক্ষ হয়ে সংঘর্ষে জড়ান। একটি বড় ছাতা হাতে তাকে সংঘর্ষের একদম সামনে দেখা যায় অন্তত দুই ঘণ্টা ধরে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার একপর্যায়ে ইটের আঘাতে আহত হয়ে সড়কে পড়ে যান নাহিদ।
এরপর তার ওপর নির্মম হামলা চালায় হেলমেটধারী কয়েক যুবক। নাহিদকে ওইদিন দুজন পরপর কোপায়। এর মধ্যে সবচেয়ে হিংস্র দেখা গেছে শনাক্ত হওয়া রাব্বীকে। রাব্বীর আগের হামলাকারীকেও শনাক্ত করা হয়েছে। নাহিদ হত্যার পরদিন হাসপাতালে মারা যান দোকানকর্মী মুরসালিন। মুরসালিনকেও কুপিয়েছে ঢাকা কলেজের এক শিক্ষার্থী। মুরসালিনের হত্যাকারীকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। রাব্বীর নাম জানা গেলেও অন্যদের নাম জানা যায়নি।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার জানান, সব ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ হচ্ছে, কয়েকজনকে শনাক্তও করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছে। একটি মামলা বিস্ফোরক আইনে এবং অন্যটি পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা হয়েছে। দুই মামলায় নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী, কর্মচারী ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীসহ মোট ১২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে এ সংঘর্ষ। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলেও আবার পরের দিন মঙ্গলবার সকাল ১০টার পর থেকে ফের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়, যা চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এ ঘটনায় উভয়পক্ষের অর্ধ শতাধিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। এ ছাড়া সংঘর্ষের এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তাদের একজন ডেলিভারিম্যান, অন্যজন দোকান কর্মচারী।
রাজশাহীর সময় / এম আর
শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর