পারিবারিক কলহের জের ধরে দুই শিশু সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মা সাহিদা বেগম। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি পুলিশের কাছে দুই শিশু সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার।
রোববার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়নের ১ নম্বর পুনর্বাসন এলাকা থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তাদের সাহিদা বেগমকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নিহতরা হচ্ছে: নিকরাইল ইউনিয়নের ১ নম্বর পুনর্বাসন এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে সাজিম (৬) ও সানি (৪ মাস)।
পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে সাহিদা বেগম তার দুই শিশু সন্তানকে বালিশচাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। পরে তিনি নিজে চলন্ত ফ্যানে কাটা পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ জন্য নিহত দুই শিশুর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
তিনি আরও বলেন, সাহিদা বেগম হাসপাতালে পুলিশের কাছে দুই শিশু সন্তানকে হত্যা করার স্বীকার করেছেন। বর্তমানে তিনি পুলিশ পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, সাহিদার স্বামীর কোনো কিছু নেই। তার ভাই ও ভাবি মানসিকভাবে যন্ত্রণা দিত। তাদের মধ্যে এক সপ্তাহ আগেও ঝগড়া হয়েছিল। এর ফলে সাহিদা আশঙ্কা করছিলেন তার ভাই ও ভাবি তাদের সন্তানকে মেরে ফেলবেন। এই আশঙ্কা থেকেই সাহিদা তার দুই ছেলেকে হত্যা করে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
স্থানীয়রা জানান, ইউসুফ তার স্ত্রী সাহিদাকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি নিকরাইল ইউনিয়নের পুনর্বাসন এলাকায় থাকেন। তিনি মাছ ধরার কাজ করেন। সকালে মাছ ধরার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। তবে সম্প্রতি শ্বশুরবাড়ি থাকা নিয়ে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়েছিল। স্থানীয়রা দুই দিন আগে দুই পক্ষকে ডেকে মীমাংসা করে দেন। শিশুদের শরীরে কোনো আঘাত নেই। ফ্যান পড়লে পাখাসহ বডি পড়ে যাবে। কিন্তু মাত্র ফ্যানের দুটি পাখা খুলে পড়ে আছে। তাতে পাখাতে কোনো রক্তের দাগ নেই। দুই শিশুর মৃত্যু সন্দেহজনক।
রাজশাহীর সময়/জেড