২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৩:৫৭:৫৬ পূর্বাহ্ন


ঈদ বোনাস-ছুটির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ-ভাঙচুর
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৪-২০২২
ঈদ বোনাস-ছুটির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ-ভাঙচুর ঈদ বোনাস-ছুটির দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ-ভাঙচুর


সাভারের আশুলিয়ায় ঈদের ছুটি ও বোনাসের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। এসময় বেশ কয়েকটি যানবাহনে শ্রমিকরা ভাঙচুর চালিয়েছে। 

রবিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের পলাশবাড়ী এলাকায় অবস্থিত স্কাইলাইন গ্রুপের শ্রমিকরা এ বিক্ষোভ-ভাঙচুর করে।

শ্রমিকরা জানায়, ওই কারখানাটিতে প্রায় ১৪০০ শ্রমিক কাজ করে। ঈদের বোনাস না দিয়েই আগামী শনিবার থেকে কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় শ্রমিকরা বোনাসের দাবি করলেও কর্তৃপক্ষ তাতে সাড়া না দেওয়ায় শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ হাফ বোনাসের ঘোষণা দেয়। কিন্তু তা না মেনে ফুল বোনাসের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্র মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা।

কারখানার শ্রমিক মিজানুর রহমান বলেন, সকালে সুন্দরভাবে কাজ করছিলাম আমরা। এসময় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেন ঈদের ছুটি ছয়দিন। এরপরে ১০ টার দিকে তারা জানায় সাতদিন ছুটি দেওয়া হবে। একথা শুনে শ্রমিকরা ১০ দিনের ছুটি ও ফুল বোনাসের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে।

জানা গেছে, পলাশবাড়ি এলাকার স্কাইলাইন গ্রুপের শ্রমিকরা হঠাৎ রবিবার দুপুরে কারখানার সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কটি প্রায় এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখায় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা শ্রমিকদেরকে সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সাথে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় শ্রমিকরা ৮/১০টি গাড়ি ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে শ্রমিকরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়লে পুলিশও শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। শ্রমিকদের দাবি পুলিশের লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেলে অন্তত ১০ জন সহকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া শ্রমিকদের হামালায় দুই পুলিশ সদস্যসহ অন্তত আরও ১০ জন আহত হয়। পরে দুপুর দুইটায় অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থল পৌঁছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। 

অন্যদিকে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধের বিষয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সংবাদ কর্মীদেরকে কারখানার ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান বলেন,  শ্রমিকদেরকে সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এছাড়া যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কারখানার সামনে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। 

রাজশাহীর সময়/জেড