বাসরঘরে স্বামীর সহযোগিতায় নববধূকে ধর্ষণ, দুলাভাই গ্রেফতার
অনলাইন ডেস্ক :
-
আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৪-২০২২
বাসরঘরে স্বামীর সহযোগিতায় নববধূকে ধর্ষণ, দুলাভাই গ্রেফতার
বগুড়ার ধুনটে স্বামীর সহযোগিতায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাসররাতে এক নববধূকে (১৮) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নববধূর (১৮) স্বামীর দুলাভাই আলমগীর হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার রাতে ধুনট থানায় মেয়ের জামাই, তার ভগ্নিপতিসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী নারীর বাবা। পরে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি আলমগীরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আলমগীর হোসেন (৩০) সিরাজগঞ্জ সদরের ভুরভুড়িয়া গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে। ঘটনার দিন শ্বশুরবাড়িতে ছিল আলমগীর। শনিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, ধর্ষণের শিকার নববধূর ২২ ধারায় আদালতে জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। একই সঙ্গে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার নববধূ ধুনট উপজেলার এক কৃষকের মেয়ে। গত ২৩ মার্চ উপজেলার সরোয়া পাচথুপি গ্রামের মানসিক প্রতিবন্ধী এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের আগে বরের মানসিক সমস্যার কথা জানতো না মেয়ের পরিবার।
বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ওই রাতেই নববধূকে তার বাবার বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায় বরপক্ষ। রাত সাড়ে ১১টার দিকে নববধূ ও তার স্বামী বাসরঘরে প্রবেশ করেন। এ সময় বরের দুলাভাই আলমগীর হোসেন শরবতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে নববধূকে পান করান। কিছুক্ষণ পর বাসরঘরের বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন নববধূ।
এরপর বরের সহযোগিতায় আলমগীর হোসেন সকাল পর্যন্ত নববধূকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরদিন ২৪ মার্চ সকাল ৬টার দিকে নববধূ ঘুম থেকে উঠে দেখেন আলমগীর তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। আর তার স্বামী একই ঘরে পাশের বিছানায় ঘুমিয়ে আছে। নববধূ বিষয়টি তার স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে জানালে তারা কোনো কর্ণপাত করেননি। উল্টো নববধূকে তারা মারধর করেন। এ অবস্থায় ২৫ মার্চ রাতে একই কৌশল অবলম্বন করেন আলমগীর। তখন টের পেয়ে নববধূ তার বাবাকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি খুলে বলেন। তখন তার বাবা তাকে বাড়িতে নিয়ে যান।
পরে বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা হয়। কিন্তু সমাধান না হওয়ায় ওই নববধূর বাবা বাদী হয়ে আলমগীর হোসেন, ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে জামাই ও তার বাবা-মাকে আসামি করে মামলা করেন।
ধুনট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, মামলা করার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
রাজশাহীর সময় / জি আর
শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর