চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে সন্ত্রাসী ইয়ার মো. বাবরকে গ্রেপ্তারের পর ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে তার আরও দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় একটি বিদেশি পিস্তল, ১টি এলজি, ১টি থ্রি-কোয়ার্টারগান এবং ১২ রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার ( ২৩ এপ্রিল) র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব বলছে, মো. বাবর এলাকায় সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি এবং ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত।
তিনি বলেন, র্যাব বিশেষ সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে, পটিয়া এলাকায় কুখ্যাত সন্ত্রাসী ইয়ার মো. বাবরের অপকর্মের কারণে এলাকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। এছাড়া তার কাছে বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে। এরপরই তাকে গ্রেপ্তারের জন্য ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার পটিয়ার গৈরালারটেক বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১টি এলজি এবং ৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধারসহ তাকে আটক করা হয়েছে। ইয়ার মো. বাবর চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলা সদরের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, বাবরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, নাইখাইন গ্রামে তার বসতঘরে আরও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি আছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে নাইখাইন গ্রামে যাওয়ার সময় গৈরালারটেক এলাকায় আসামি ইয়ার মো. বাবর চিৎকার শুরু করে। তখন তার অন্য সহযোগী মো. মহিউদ্দিন (২৯) ও আব্দুল কাদের চৌধুরীসহ আরও ৫-৬ জন অজ্ঞাতনামা লোক এসে বাবরকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সন্ত্রাসীদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে এক র্যাব সদস্য আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে গৈরালারটেক বাজার থেকে মো. বাবরের সহযোগী মো. মহিউদ্দিন ও আব্দুল কাদের চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজশাহীর সময়/এইচ