নড়াইলে পরকীয়ায় বাধা দেওয়ায় স্ত্রীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে মশিউর রহমান নামে এক বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাতে শহর সংলগ্ন সীমাখালী গ্রামে নিজেদের ভাড়াবাড়িতে সহিংসতার শিকার মুসলিমিনা নামে ভুক্তভোগী নারীকে স্বজনরা উদ্ধার করে শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এদিকে অভিযুক্ত মশিউর স্ত্রী মুসলিমিনার বিরুদ্ধে অবাধ্যতার পাল্টা অভিযোগ করেন। এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ও তার স্বজনরা জানান, স্বামী মশিউরের পরকীয়ায় বাধা দেওয়াই কাল হয় মুসলিমিনার জীবনে। এ নিয়ে বারবার মশিউরের অমানুষিক নির্যাতনের শিকার হতে হয় তাকে। এতে অনেকবার সংসার ছেড়ে মুসলিমিনাকে বাবার বাড়ি গিয়ে আশ্রয় নিতে হয়েছে।
পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় দুটি সন্তানের কথা ভেবে তিনি স্বামীর সংসারে ফিরলেও মশিউর পরকীয়া থেকে ফিরতে পারেননি। ফলে তাদের পরিবারে শান্তি আসেনি। এ অবস্থায় মশিউর সম্প্রতি ছুটিতে বাড়ি এলে চলমান অশান্তির একপর্যায়ে শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে স্ত্রী মুসিলিমিনাকে বেধড়ক মারধর করে আহত করে ফেলে রাখেন। পরে স্বজনরা উদ্ধার করে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
নির্যাতিতা ও তার স্বজনরা এ ঘটনারা বিচার দাবি করেছেন। নড়াইল সদর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি চিকিৎসক ডা. শরীফ মো. হাসান জানান, ভুক্তভোগীকে ভর্তি করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার শরীরের আঘাত সম্পর্কে রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত বিজিবি সদস্য মশিউর নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের নিধিখোলা গ্রামের ছমেদ মোল্যার ছেলে। তিনি রাজশাহীতে বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নে কর্মরত। পরকীয়ার বিষয় অস্বীকার করে মশিউর স্ত্রীর ওপর অবাধ্যতার পাল্টা অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শওকত কবির বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হবে।
রাজশাহীর সময় / জি আর