নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও দোকানকর্মীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে স্থবির হয়ে পড়েছে ওই এলাকার অন্তত ২০টি মার্কেটের ব্যবসা-বাণিজ্য। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) তিনি বলেন, আর কয়েকদিন পর ঈদ। এখন ব্যবসার পিক সময়। বিক্রি একদিন বন্ধ থাকায় বড় ক্ষতি হতে পারে। একদিন ব্যবসা বন্ধের ফলে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ১০০ কোটি টাকা। তবে সার্বিক ক্ষতির বিষয়ে সঠিক তথ্য দেওয়া কঠিন।
তিনি বলেন, আমাদের হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী, নিউমার্কেট কেন্দ্রিক ২০টি মার্কেটের প্রায় দেড় লাখের বেশি ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। নিউ মার্কেট, গাউছিয়া সুপার মার্কেট, চন্দ্রিমা সুপার মল, চাঁদনী চক, হকার্স মার্কেট, নিউ ম্যানশনসহ আরও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আশা করছি দুপুরের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে। পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত দুই বছর করোনার কারণে ব্যবসায়িক পরিস্থিতি খুব মন্দা ছিল। দোকানপাট বন্ধ ছিল। এবার ঈদকে কেন্দ্র করে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। কিন্তু আজকের পরিস্থিতির কারণে ঈদকেন্দ্রিক বাণিজ্যে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তারা দ্রুত এই পরিস্থিতির সমাধান চান।
সোমবার মধ্যরাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর রাতভর উত্তেজনা ছিল নিউমার্কেট এলাকায়। মঙ্গলবার সকাল থেকে ছিল থমথমে পরিস্থিতি। এরপর আবারও পথে নেমে আসেন শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা। দুইপক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা কলেজের ছাত্ররা নিউমার্কেট এলাকায় আসতে থাকেন। রাস্তায় অবস্থান নেন ব্যবসায়ীরাও। বেধে যায় সংঘর্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিউমার্কেটের সড়কে সামনাসামনি অবস্থানে রয়েছেন ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা। একে অপরের দিকে ঢিল ছুড়ছেন তারা। চলছে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এলাকাজুড়ে চলছে তাণ্ডব। বিক্ষুব্ধদের অনেকেই এসেছেন হেলমেট পরে। একপক্ষ ঢিল, ইট বা লাঠি ছুড়লে প্রতিপক্ষ দৌড় দিয়ে চলে যাচ্ছে। আবার জড়ো হয়ে বিরোধীপক্ষের দিকে এসব ছুড়ছে তারা। রাস্তায় ময়লার গাড়িসহ ভ্রাম্যমাণ দোকানে চলছে ভাঙচুর। ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর চাপ পড়েছে পার্শ্ববর্তী সড়কগুলোতে।
রাজশাহীর সময়/এএইচ