গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে এটি অন্যতম একটি ফল কাঁঠাল। আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠাল। সারাবছর গ্রীষ্মকালীন ফল পাওয়া গেলেও বিশেষ করে জাম, জামরুল, তরমুজ ও কাঁঠাল সব সময় পাওয়া যায় না। গরম পড়তেই দেখা মেলে মৌসুমি এই ফল কাঁঠালের।
কাঁঠাল স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু হওয়ায় অনেকেরই প্রিয় ফল। কেউ কেউ একবারে পুরো কাঁঠাল সাবাড় করে ফেলে আবার কেউ কেউ কাঁঠাল খেতে একদমই পছন্দ করেন না। তবে কাঁঠাল খাওয়ায় পছন্দ-অপছন্দ থাকলেও কাঁঠালের বীজ কিন্তু কমবেশি সবার পছন্দ। এমনকি এই বীজ শুকিয়ে ভেজে খেতেও পছন্দ করেন অনেকে।
কাঁঠালের চেয়েও বেশি স্বাস্থ্যকর কাঁঠালের বীজ। গরমের দুপুরে মটর ডালের সাথে কাঁঠালের বীজ দিয়ে রান্না করা খাবারও খেতে খুব ভালো লাগে। এছাড়া আরো নানা উপায়েই রান্না হয় এই কাঁঠালের বীজ।
বাজারে আলাদা করে বিক্রি হয় কাঁঠালের বীজ। স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাবারের পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখতেও সমানভাবে সাহায্য করে এই কাঁঠালের বীজ। ডায়াবেটিস, বদ হজম ও ত্বকের সুরক্ষা ছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে কাঁঠালের বীজ।
আসুন জেনে নেই কাঁঠালের বীজ যেভাবে শরীরের যত্ন নেয় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
কাঁঠালের বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ১০০ গ্রাম কাঁঠালের বীজে থাকে ৪ গ্রাম প্রোটিন। ফ্যাটের পরিমাণও খুব কম। কাঁঠালের বীজে থাকা প্রোটিন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। পেশি সুস্থ, সবল ও দৃঢ় করতেও সাহায্য করে।
বদ হজমের সমস্যা কমাতে
বদহজমের সমস্যা কমাতে দারুণ কার্যকর কাঁঠালের বীজ। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। হজম ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ সাহায্য করে ফাইবার। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে কাঁঠালের বীজকে শুকনো করে গুঁড়িয়ে প্রতিদিন আধা কাপ পানি মিশিয়ে খেতে পারেন। উপকার পাবেন।
ডায়াবেটিসের সমস্যা কমাতে
কাঁঠালের বীজে থাকা ফাইবার ধমনি থেকে কার্বোহাইড্রেট শুষে নেয়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় থাকে। ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগে থাকলে খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন কাঁঠালের বীজ। আয়রন সমৃদ্ধ কাঁঠালের বীজ রক্ত স্বল্পতার সমস্যা কমায়।
ত্বকের যত্ন নিতে
কাঁঠালের বীজ ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। কাঁঠালের বীজে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ত্বক টানটান করে তোলে। ত্বকের অবাঞ্ছিত দাগছোপ দূর করতেও দারুণ কাজ করে কাঁঠালের বীজ।
রাজশাহীর সময় / এম আর