পিলখানায় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নৃশংসভাবে ‘খুন’ হওয়ার ঘটনা ‘পূর্বপরিকল্পিত’ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন শহিদ কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী মেহরিম ফেরদৌসি।
মেহরিম ফেরদৌসির ভাষ্য, ‘এই হত্যাকাণ্ডকে বিডিআর বিদ্রোহ বলবেন না। বিদ্রোহ এ রকম হয় না। সবকিছুই পূর্বপরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে অভিযোগ জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন শহিদ সেনা কর্মকর্তাদের স্বজনেরা তাদের অভিযোগ চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেন। এ সময় তৎকালীন বিডিআরের ডিজি শহিদ মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের ছেলে ব্যারিস্টার রাকিন আহমেদ, শহিদ কর্নেল কুদরত এলাহীর ছেলে সাকিব রহমানসহ ১৫ থেকে ২০ জন শহিদ পরিবারের সদস্য উপস্থিত ছিলেন।তাদের মধ্যে কয়েকজন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন।
মেহরিম ফেরদৌসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওই দিন প্ল্যান করে মেরে লাশ পোড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি পরিবারের সদস্যদের ঘর থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বাচ্চাদের বুট দিয়ে লাথি দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের সঙ্গে সেদিন কী করা হয়েছে, তা আপনারা জানেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটাকে (পিলখানা হত্যাকাণ্ড) পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলবেন। তদন্ত করলেই সত্যতা বের হয়ে আসবে এবং এটি জনসম্মুখে করতে হবে। আমরা আজও জানি না কিংবা আমাদের সন্তানরাও জানে না কী কারণে উনাদের হত্যা করা হয়েছে। তাদেরকে হত্যা করার জন্য কোনো একটি কারণ তো থাকতে হবে।’
এ সময় দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব নষ্ট করার জন্যই এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন শহিদ কর্নেল মুজিবুল হকের স্ত্রী।
তিন তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করানোর দাবি জানান।