২৩ নভেম্বর ২০২৪, শনিবার, ০৩:২৩:৪৪ পূর্বাহ্ন


মৌলভীবাজারে তিন মাস ধরে মজুরি পান না ১৪০০ চা শ্রমিক
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৯-২০২৪
মৌলভীবাজারে তিন মাস ধরে মজুরি পান না ১৪০০ চা শ্রমিক ছবি: সংগৃহীত


মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ফুলতলা চা বাগানে প্রায় তিন মাস ধরে ১৪০০ চা শ্রমিকের মজুরি ও রেশন বন্ধ রয়েছে। যার জন্য দুর্ভোগের শেষ নেই তাদের। শ্রমিকদের অভিযোগ, দি নিউ সিলেট টি এস্টেটস লিমিটেডের মালিকানাধীন ওই বাগান কর্তৃপক্ষ নিয়মিত মজুরি না দিয়ে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। মজুরির দাবিতে শ্রমিকরা কর্মবিরতিসহ মানববন্ধন করে আসছেন। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধির আশ্বাসে পাতা উত্তোলনের কাজও চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাগান মালিক নানা অযুহাত দেখিয়ে শ্রমিকদের মজুরি বন্ধ রেখেছেন। গুঞ্জন রয়েছে তিনি দেশের বাইরে চলে গেছেন। এরপর থেকে বাগানে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। পাতা উত্তোলনের ভরা মৌসুমে শ্রমিকরা কাজ না করলে উৎপাদনে বড় ক্ষতির শঙ্কা থাকায় স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

বাগানের শ্রমিক রাম ভোজন বলেন, জেলার সীমান্তবর্তী ফুলতলা চা বাগান ভালো মানের বাগান। হঠাৎ মালিক পক্ষের অসহযোগিতায় প্রায় তিন মাস ধরে শ্রমিকদের রেশন ও মজুরি বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়ে দিনমজুর শ্রমিকরা। শ্রমিকরা দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেনি।

বাগান পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক দিপচান গোয়ালা বলেন, আমাদের বাগানে ১৪০০ শ্রমিক রয়েছেন। মালিকপক্ষ দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও বন্যার অজুহাত দেখিয়ে ১১ সপ্তাহ ধরে রেশন ও মজুমি বন্ধ করে রেখেছেন। এনিয়ে আমরা বার বার যোগাযোগ করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। আমরা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। শ্রমিকদের অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের জানানো হলে তারা উদ্যোগ নিয়েও সমাধান করতে পারেনি। তাদের প্রচেষ্টায় মাত্র এক সপ্তাহের মজুরি প্রতিজন ১ হাজার ২০ টাকা পেয়েছেন। কিন্তু রেশন দেওয়া হয়নি। এই টাকা দিয়ে শ্রমিকরা ঋণ পরিশোধ করবে নাকি সংসারের খরচ চালাবে?

জুড়ী উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম শেলুর বলেন, বাগানের অবস্থা ভালো না। বিষয়টি স্থানীয় ও ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের জানা রয়েছে। বাগান চালু রাখার জন্য এক সপ্তাহের মজুরি প্রদান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাগান ম্যানেজারকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাবলু সুত্রধর বলেন, প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। শ্রমিকদের এক সপ্তাহের মজুরি প্রদান করা হয়েছে।

মজুরি প্রদান অব্যাহত থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করবো।