২৪ নভেম্বর ২০২৪, রবিবার, ০৬:৫২:২৩ অপরাহ্ন


সাবেক এমপি এনামুলের সোয়েটার কারখানার বকেয়া বেতনের দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ
স্টাফ রিপোটার:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৯-২০২৪
সাবেক এমপি এনামুলের সোয়েটার কারখানার বকেয়া বেতনের দাবিতে নগরীতে বিক্ষোভ ছবি: সংগৃহীত


রাজশাহী মহানগরীতে ‘এক দফা এক দাবি, বকেয়া বেতন আজকেই দিবি’ এমন স্লোগানে বিক্ষোভ মিছিল করছেন রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এনামুল হকের সোয়েটার কারখানার শ্রমিকেরা। দুই থেকে সাত মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবি জানান তারা। 

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে নগরীর সোনাদিঘি মোড় এলাকায় সিটি সেন্টারের সামনে রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান নেন তাঁরা। এ সময় একপাশের রাস্তা দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। 

জানা গেছে, এর আগে নগরের সপুরা এলাকায় কারখানা থেকে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সিটি সেন্টারের সামনে অবস্থান নেন। এসময় শ্রমিকেরা বকেয়া বেতন ও দ্রুত কারখানা চালুর দাবি জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এ সময় শ্রমিকরা ‘এক দফা এক দাবি, বকেয়া বেতন আজকেই দিবি’, ‘আমাদের দাবি মানতে হবে, মালিক পক্ষকে আনতে হবে’, ‘আমার পেটে ভাত নাই, বাঁচার মতো বাঁচতে চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শ্রমিকেরা জানান, কারখানায় প্রায় ৩৫০ জন শ্রমিক আছেন। তাদের অনেকের সাত মাস পর্যন্ত বেতন বাকি আছে। আর সবার বেতন বাকি আছে দুই মাস পর্যন্ত। বকেয়া বিদ্যুৎ ও গ্যাসের বিল পরিশোধ না করায় সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে। পুরো বন্ধ হয়ে গেছে কারখানাটির উৎপাদন। এরপর থেকে শ্রমিকরা কারখানার ভেতর ও বাইরে বিক্ষোভ করে আসছিল। 

শ্রমিক হাবিবুর রহমান বলেন, কেউ দুই, কেউ তিন কেউ ছয় মাসের বেতন পাবেন। এই শুরুটা কয়েক বছর আগে থেকে শুরু হয়েছে। কারখানার মালিক এনামুল গ্রেপ্তার হওয়ায় তাদের বেতন পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

সামিয়া খাতুন নামে এক শ্রমিক বলেন, কারখানারও কেউ নেই। আমরা সিটি সেন্টারের এখানে এসে ঘেরাও করেছি। এটা মালিকের হেড অফিস। এখানেও কেউ নাই। আমাদের কেউ এসে বলুক যে বেতন দ্রুতই দিয়ে দিবেন। আমরা চলে যাবো। আশ্বাস দেওয়ার কাউকেই পাওয়া যাচ্ছে না।

কারখানার প্রোডাকশন ম্যানেজার মোঃ মামুন বলেন, তিনি গত মাসের ১৬ তারিখে কারখানায় যোগদান করেন। এরপর ৫-৬ দিন কাজ চলেছে। তারপরই বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন বন্ধ করা হয়েছে। তিনি কারখানার নির্বাহী পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছেন। দ্রুতই বেতন ও কারখানা চালুর ব্যাপারে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। সেই কথা তিনি শ্রমিকদের বলেছেন।

কারখানার নির্বাহী পরিচালক মমিনুল ইসলাম বলেন, আগামী ৩০ তারিখের মধ্যেই সবকিছু স্বাভাবিক করতে পারবেন। এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগসহ শ্রমিকদের বেতন দিবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন শ্রমিকদের। তাদের বেশ কয়েকটি শিপমেন্ট ছেড়ে দিতে পারলে বেশকিছু ডলার পাওয়া যাবে। কিন্তু শ্রমিকদের আন্দোলনে বায়াররা সেখানে যেতে পারছেন না। শ্রমিকরা একটু ধৈর্য ধরলে সবকিছু পাবেন ধীরে ধীরে।