বাগেরহাটের মোংলায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে অতিবৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে উপজেলার ছয় ইউনিয়নের সাত শতাধিক চিংড়ি ঘের। এতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন চিংড়ি চাষিরা।
পৌর বাসিন্দারা বলছেন, বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে পুকুর, বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট। সৃষ্টি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। এতে ঘরে থাকাটা দায় হয়ে পড়েছে বাসিন্দাদের। বাইরে বের হওয়াটাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে রোববারও মোংলা সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত বহাল রয়েছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই, খালাস ও পরিবহনের কাজ। সারবাহী কয়েকটি জাহাজের পণ্য খালাসের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘বৃষ্টিতে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপজেলার চিলা ইউনিয়নের চিলা ও জয়মনি এবং বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের সানবান্ধা ও বিদ্যারবাহন এলাকায়। বিভিন্ন এলাকার সাত শতাধিক চিংড়ি ঘের তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মৎস্যচাষিদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ চলছে।’
মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ হারুন অর রশিদ বলেন, নিম্নচাপটি ঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টিপাত হয়ে দুর্বল হলেই বিলীন হয়ে যাবে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে বৃষ্টি কমে আবহাওয়া অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানান তিনি।