বাংলাদেশের অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ এবং নতুন গঠিত সরকারকে ব্যর্থ করতে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও দলটির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর ৫৫তম জন্মদিন উপলক্ষে সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বনানী করবস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, এ প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'এটা হচ্ছে ফেইক প্রোপাগান্ডা। বাংলাদেশের গণজাগরণকে, এই অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করার জন্য, ব্যর্থ করার জন্য এবং নতুন গঠিত সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য তারা এই মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশের মানুষ এবং বিশ্ব জনমত এটাকে বিশ্বাস করবে না।
বাংলাদেশের ক্রীড়া খাতে আরাফাত রহমান কোকোর অবদান তুলে ধরে ফখরুল বলেন, 'আমরা প্রত্যাশা করব, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমর্থ হবে বাংলাদেশের ক্রীড়া খাতকে সঠিকভাবে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করব।'
আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের অবদান তুলে ধরে তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক দলগুলো আমরা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আমরা ত্যাগ স্বীকার করছি। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মী প্রাণ দিয়েছে এবং আজকে এই আন্দোলনে তাদের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গৌরবান্বিত। তাই আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করব, সমস্ত বিপদগুলোকে কাটিয়ে সত্যিকার অর্থে একটি মুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণ করার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।'
দেশের জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'প্রতি বিপ্লবের আশঙ্কা থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য অত্যন্ত সজাগ থেকে, রাস্তায় থেকে তাদের চক্রান্ত প্রতিরোধ করতে জনগণের প্রতি আমি আহ্বান জানাচ্ছি।'
জনগণকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, 'এটা ছিল ছাত্র-জনগণ-নাগরিকের স্বতঃস্ফূর্ত গণজাগরণ। সেই গণজাগরণকে সুসংহত করাই এখন আমাদের একমাত্র কাজ। শেখ হাসিনা বলুন আর অন্যান্যরা বলুন, তারা সবাই এটাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবে।'
আরাফাত রহমান কোকো ১৯৬৯ সালের ১২ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি মারা যান।