মাদারীপুর শহরের দরগাহখোলা এলাকায় দুই শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন মা। হত্যার পর কয়েক ঘণ্টা দরজা বন্ধ করে কক্ষের মধ্যে বসে ছিলেন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘরে ঢুকে দুই শিশু জান্নাতুল ফেরদৌস (৩) ও মেহরাজের (১) মরদেহ পায়। অভিযুক্ত তাহমিনা বেগম আটক হয়েছেন।
পরিবারের দাবি, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন।
জানা যায়, দরগাহখোলা এলাকায় দেড় মাস আগে ভাড়া বাসায় ওঠেন শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকনদী গ্রামের তারা মিয়া। তিনি মাদারীপুর শহরের প্রগতি লাইব্রেরির ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত। বুধবার সকালে তারা মিয়ার বাসায় নাতি-নাতনিকে নিয়ে বেড়াতে আসেন মেয়ে তাহমিনা। পরে সকালে তারা মিয়া দোকানে চলে যান। দুপুরে এসে শুনতে পান তাঁর মেয়ে নাতি-নাতনিকে নিয়ে কক্ষের দরজা বন্ধ করে রেখেছে। প্রথমে মনে হয়েছিল তাহমিনা তাঁর সন্তানদের নিয়ে ঘুমাচ্ছেন। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা খোলেননি। তবে কেউ ডাক দিলেই উচ্চ স্বরে গান ও গজল গাইতে শোনা যায়।
দুই শিশু শরীয়তপুর সদরের পশ্চিম সারেঙ্গা গ্রামের প্রবাসী হালিম খানের সন্তান। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শিশু দুটি তার নানার বাসায় বেড়াতে এসেছিল।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি এএইচএম সালাউদ্দিন জানান, মা তাহমিনাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।