নরসিংদীর রায়পুরায় ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ৫ জনের মরদেহের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
সোমবার (৮ জুলাই) রাত ১২টায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে রেলস্টেশন সংলগ্ন রেলওয়ে কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। এ ঘটনায় ভৈরব রেলওয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের রায়পুরা উপজেলার কমলপুর এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়া ছিন্নবিচ্ছিন্ন ৫ মরদেহ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ।
রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের রায়পুরা উপজেলার মেথিকান্দার রেলগেইট এলাকায় পলাশতলী ইউনিয়নের কমলপুরে রেললাইনে ছিন্নবিচ্ছিন্ন ৫টি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ, পিবিআই, রায়পুরা ও জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে নিহতদের মরদেহ উদ্ধারে কাজ শুরু করেন। নিহত সকলেই পুরুষ। তাদের বয়স আনুমানিক ১৫ থেকে ২৫ এর মধ্যে হবে বলে জানিয়েছেন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করতে মরদেহের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সংগ্রহ করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ। তবে জাতীয় সার্ভারে ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলায় তাদের পরিচয় শনাক্ত সম্ভব হয়নি। এমনকি রাত পর্যন্ত কোনো স্বজন পরিচয় শনাক্ত করেনি।
সবগুলো মরদেহ কাছাকাছি হওয়ায় মৃত্যুর কারণ নিয়ে জনমনে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় রায়পুরা উপজেলার মেথিকান্দা স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আশরাফ আলী বাদী হয়ে ভৈরব রেলওয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছেন।
নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মো. শহীদুল্লাহ বলেন, পিবিআই হাতের ছাপ সংগ্রহ করলেও তদের পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে তাদের কোনো জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। আমরা মরদেহগুলোর ডিএনএ ও ভিসেরা সংগ্রহ করেছি। এগুলো ঢাকার মালিবাগের সিআইডি ল্যাবে পাঠানো হবে। ডিএনএ পরিচয় শনাক্তে ও ভিসেরা মাধ্যমে তারা কোনো নেশা করেছিল কি না শনাক্ত করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, মরদেহগুলো ময়নাতদন্ত শেষে রেলওয়ে কবরস্থানে সিরিয়ালভাবে দাফন করা হয়েছে। আর এটি হত্যা না দূর্ঘটনা সেটি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই বলা যবে। ঘটনাটি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।