২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০৪:৩৯:৪৭ অপরাহ্ন


বাঘায় আ'লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা সা: সম্পাদক বাবুলের মৃত্যু
রাজশাহী ব্যুরো:
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৬-২০২৪
বাঘায় আ'লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা সা: সম্পাদক বাবুলের মৃত্যু বাঘায় আ'লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা সা: সম্পাদক বাবুলের মৃত্যু


রাজশাহীর বাঘায় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনার চারদিন পর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল মারা গেছেন।

বুধবার (২৬ জুন) বেলা সাড়ে ৪ টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম বাবুল বাঘা পৌর এলাকার গাওপাড়া গ্রামের মৃত আমুর হোসেন আমুর ছেলে।

তার মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিতটি করেছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। এছাড়া বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহেদ সাদিক তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

চিকিৎসক আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, গত (২২ জুন) গুরুতর আহত বাবুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিউতে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে ক্রমান্বয় তাঁর শারীরিক অবস্থা অবনতি হতে থাকে। সর্বশেষ তার মাথার ক্ষত স্থানে ইনফেকশন হয়ে যায়। ফলে চিকিৎসা জটিল হয়ে পড়ে। তাকে বাঁচানোর জন্য চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন বলে জানান এই চিকিৎসক।

জানা গেছে, শনিবার (২২ জুন) সকাল ১০টার দিকে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের ডাকে উপজেলা পরিষদের সামনে বাঘা পৌরসভার মেয়র আক্কাছ আলীর দুর্নীতির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন চলছিল। এ সময় আসামিরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখানে কয়েকটি পিস্তলের গুলিবর্ষণ করা হয়। আতঙ্কে তারা মানববন্ধন ছেড়ে উপজেলা চত্বরের ভেতরে পালাতে গেলে আসামিরা এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল ও পাথর ছোড়ে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাক কর্মী সমর্থক আহত হন।

সংঘর্ষের সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম উপজেলা অডিটরিয়ামের সামনে পড়ে গেলে তাকে চায়নিজ কুড়াল দিয়ে মাথার বাঁ-পাশে আঘাত করেন আক্কাছ আলী। এছাড়াও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম তার হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আশরাফুল ইসলামের ঘাড়ে আঘাত করেন।

সংঘর্ষের সময় ইটপাটকেল ও পাথরের আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের গ্লাস ও কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করায় আনুমানিক ৪০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়। ঘটনার দিন আহত আশরাফুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। গত ৬ দিন রামেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার তার মৃত্যু হয়েছে।

বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। তিনি বলেন সংঘর্ষের ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিনুর রহমান পিন্টু বাদী হয়ে দ্রুতবিচার আইনে একটি মামলা করেন। এ মামলায় ৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।