২৭ Jul ২০২৪, শনিবার, ০৮:৪৪:৫৪ পূর্বাহ্ন


বোস্টনে জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন
ইমা এলিস, নিউ ইয়র্ক:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৬-২০২৪
বোস্টনে জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন বোস্টনে জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী পালন


সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শুধু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাই নন তিনি ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তক। তাঁর ঘটনাবহুল কর্মময় জীবনের কারণেই মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তাঁর দেশপ্রেম, পরিশ্রমপ্রিয়তা ও নেতৃত্বের দৃঢ়তাসহ প্রভৃতি গুণাবলী এদেশের গণমানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছিল।

প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ক্যামব্রিজের দারুল কাবাব রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নিউ ইংল্যান্ড (বোস্টন) বিএনপির নেতারা এসব কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

নিউ ইংল্যান্ড বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র সহসভাপতি সোহরাব এইচ খানের সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক আলী হায়দার মনসুর ও সাংগঠনিক সম্পাদক রাজ্জাক হোসেনের যৌথ সঞ্চালনায় উক্ত দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠানের বক্তারা বলেন, শহীদ জিয়ার প্রবর্তিত কালজয়ী দর্শন ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ ও তাঁর অবিনাশী আদর্শে এ দেশের মানুষকে উদ্দীপ্ত করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন সফল করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন বেলাল আহমেদ।  

প্রধান অতিথি আব্দুল মালেক বলেন, শহীদ জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে দেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং তার পরবর্তী দেশ পরিচালনায় দক্ষতা ও সফলতায় কিভাবে জনগণের নয়নের মণি হয়ে উঠেছিলেন যেকারণে উনার মৃত্যু শোক আজও জাতি কাটিয়ে উঠতে পারে নাই বলে উল্লেখ করেন। তারেক জিয়ার ত্যাগ ও নেতৃত্ব নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।

বিএনপির কেন্দ্রিয় কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট উল্লেখ করে বলেন, বোস্টন প্রবাসী সোহরাব এইচ খান নিউইংল‍্যান্ড বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন এবং নিরলস ভাবে জিয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত প্রত্যেকই পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে প্রবাসে সংগঠন ও দলের জন‍্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে এ কমিটিকে নিজেই উক্ত কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলেন।

সভায় বিশেষ অতিথি সাবেক এমপি হাসনা জসীম উদ্দিন মওদুদ বলেন, বিএনপিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দল উল্লেখ করে আন্দোলন সংগ্রাম করেই বিএনপি আবারো দেশে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনবে সেই লক্ষে তারেক জিয়ার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সর্বশক্তি নিয়ে শরিক হওয়ার আহবান জানান।

উপদেষ্টা শাহাদাত সোরওর্দী বলেন, এই বাকশালী শ্বাসন থেকে দেশকে মুক্ত করার কোন বিকল্প নাই তাই অধিক শক্তি নিয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পরতে হবে।উপদেষ্টা মোজাম্মেল হোসাইনী তার বক্তব্যে বলেন, শহীদ জিয়ার কর্মময় জীবনের ইতিহাস তুলে ধরেন।

বেলাল আহমেদ বলেন, সময় লাগলেও তারেক জিয়ার নেতৃত্বেই হাসিনার দুঃশাসন থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করতে হবে। সাধারন সম্পদক আলী হায়দার মনসুর নিজেদের ঐক্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন তার বক্তব্যে।

সহসভাপতি আবুল বশর তারেক জিয়ার নেতৃত্বে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। সাংগঠনিক সম্পাদক রাজ্জাক হোসেন তারেক জিয়ার যেকোন নির্দেশের অপেক্ষায় দল উল্লেখ করে বলেন শত নির্যাতন মামলা হামলার মধ্যেও বিএনপি ছিলো আছে থাকবে এবং গণতন্ত্রের বিজয় নিশ্চিত করবে।

যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নিশো খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আন্দোলন ও সরকারের উপর চাপ প্রয়োগের কথা  উল্লেখ করেন।

সভাপতির বক্তব্যে সোহরাব এইচ খান সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন, গত ২৮শে এপ্রিল ইউএসএ'র ১৮টি কমিটির শীর্ষ ৫ সদস্যদের মিটিং এ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন ঘোষণা করেন, ১৮টি কমিটির মধ্যে ২টি কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে যার একটি নিউ ইংল‍্যান্ড বিএনপি। তিনি নতুনদের যুক্ত করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করে নতুন কমিটি গঠনের মত ব্যক্ত করেন। যাতে করে সত্যিকার অর্থেই একটি শক্তিশালী নিউইংল্যান্ড বিএনপি প্রতিষ্ঠা পায় এবং বাংলাদেশে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে কিছুটা মন্থর আন্দোলন পরিস্থিতিকে আরো জোরালো আন্দোলনের দিকে নিয়ে যেতে ভূমিকা রাখতে পারে। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকনের এমন সিদ্ধান্তের জন্য তার ভূয়সী প্রশংসা করেন উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মীরা।  

সভায় উপস্থিত উপদেষ্টা মন্ডলীর মধ্যে ছিলেন রবিউল চৌধুরী ফরহাদ, তারেক আহমেদরুবেন, মাহমুদুর রহমান, পারভেজ চৌধুরী, মাহবুবুল হক ডিউক, মাহাবুবুর রহমান অপু, মুনির রহমান, প্রফেসর আব্দুস সালাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আব্দুল মালেক, প্রধান বক্তা ও বিশেষ অতিথি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ডঃ কায়ছার খান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শরাফত হোসেন বাবু জুম ও ফোনে আলোচনায় অংশ নেন।

এছাড়াও আফতাব আহমেদ, আকাতুল্লাহ ইসলাম, মাহবুবে খোদা খোকা, মোঃ সালাউদ্দিন খান ইমন, সৈয়দ সালাম শীলু, মোঃ গোলাম মোস্তফা, সালাউদ্দিন চৌধুরী, মেজর (অব.) রাকিবুল রহমান, মেজর (অব.) ইমরান, ইলিয়াস জাকারিয়া, মনির হোসেন, অনুজ কুমার শাহা, রবি শংকর, ওয়ালি উল্লাহ, মোঃ বাদল, মুসাভি ফারদিন, সাদাত সিয়াম, জাকির আলী, বেলাল উদ্দিন, শাকেরা বেগম, ফারুক তালুকদার, পিংকি ফারুক, আব্দুল্লাহ, ফয়জুল, মানিক, মোহন, রেজ্জাকুল,ইকরাম চৌধুরী, ইকবাল চৌধুরী, মুছাম্মৎ হালিমা, ফয়সাল চৌধুরী, মোঃ আজাদ, মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ তায়েব, মোঃ নাজমুল আলম, কামরুল হাসান, মোযাম্মেল হোসাইন, আফরিন রাজ্জাক, ইলা দে, আবু তারেক, রাহুল দে, তাজ ফরহাদ, কাইসার খান, গিয়াস উদ্দিন, নাহিয়ান আলী, শরীফুল ইসলাম প্রমুখ উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন।