নাটোর জেলার সিংড়া থানা এলাকার পথ হারিয়ে যাওয়া দুই শিশুকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়েছে আরএমপি'র মতিহার থানা পুলিশ।
তারা ঢাকায় মামার বাড়ি যাওয়ার জন্য ভুল করে রাজশাহীর বাসে ওঠে তালাইমারী মোড়ে এসে হারিয়ে যায়।
শিশু দুইটির নাম জুবাইদার আকাতার লিমা ওরফে আমেনা খাতুন (৯) ও মোহনা (৮)। আমেনা খাতুন নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানার নাজিরপুর গ্রামের সেন্টু মিয়ার মেয়ে ও মোহনা সিংড়া থানার হাট সিংড়া এলাকার উত্তম কুমারের মেয়ে।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ১ মে ভোরে মতিহার থানাধীন তালাইমারি মোড়ে নাবিল মসজিদে মুসুল্লিগণ ফজরের নামাজে সময় দেখেন মসজিদের বারান্দায় দুটি মেয়ে শিশু ঘুমিয়ে আছে। মুসুল্লিগণ তাদের ঘুম থেকে ডেকে তোলেন এবং নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করেন। তখন শিশু দুটি এলোমেল উত্তর দেয়। মেয়ে শিশু দুটির কথাবার্তায় অসংলগ্নতা প্রকাশ পাওয়ায় মসজিদ কমিটির সদস্যসহ কয়েজন মুসুল্লি ভোর সোয়া ৫টায় তাদের মতিহার থানায় নিয়ে যান। পরে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো: মোবারক পারভেজ শিশু দুটির সঙ্গে বন্ধুসুলভ আচরণ করে তাদের নাম ঠিকানা জানতে চান। তখন শিশু দুটি জানায় তাদের নাম মোসা : আমেনা খাতুন ও মোহনা। তাদের বাড়ি নাটোর জেলার সিংড়া থানায়। তাদের একজনের বাবা সিংড়া বাসস্ট্যান্ডে ডিমের ব্যবসা করেন ও অন্য জনের বাবা হোটেলে কাজ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানায়, শিশু মোহনা তার বান্ধবী আমেনাকে সঙ্গে নিয়ে গতকাল মামার বাড়ি ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু তারা ভুলে রাজশাহীর বাসে ওঠে। সন্ধ্যায় তালাইমারি মোড়ে নামে আশপাশ এলাকায় ঘোরাঘুরি করে কোনো কিছু চিনতে না পেরে রাতে নাবিল মসজিদে ঘুমিয়ে পড়ে।
শিশু দুটির এসব তথ্য জানার পর মতিহার বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার মধুসুদন রায় অফিসার ইনচার্জকে শিশু দুটির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ প্রদান করেন। অফিসার ইনচার্জ নাটোর জেলার সিংড়া থানা পুলিশের মাধ্যমে তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
সংবাদ পেয়ে আজ বিকেল সাড়ে ৪ টায় শিশু দুটির পরিবারের সদস্যরা মতিহার থানায় আসলে অফিসার ইনচার্জ শিশু দুটিকে পরিবারের কাছে তুলে দেন। শিশু দুটিকে পরিবারের সদস্যরা ফিরে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। তারা আরএমপি’র মতিহার থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।