রাজশাহী নগরীর বালিয়াপুকুর এলাকায় চুক্তিপত্র ভঙ্গ করে জোড়পূর্বক অতিরিক্ত ফ্ল্যাট জবরদখল করার অভিযোগ উঠেছে। চুক্তিভঙ্গ ছাড়াও অভিযুক্ত এসপি নানামূখি অত্যাচার-ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির বেড়াজালে আবদ্ধ রেখেছে ভুক্তভোগী ইয়াসিন আলীর পরিবারকে। ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার ন্যায় বিচার চেয়ে ২৪-০৪-২৪ ইং তারিখে নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
লিখিত বক্তব্যে শিরোইল বালিয়াপুকুর এলাকার বাসিন্দা ইয়াসিন আলী বলেন, গত ১১-০১-২০২১ ইং তারিখে ভূমি উন্নয়ন ক্যাটাগরিতে আটতলা বিশিষ্ট একটি বহুতল ভবন নির্মাণের চুক্তি হয় নগরীর হেঁতেম খা এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম শাহ চৌধুরী (এসপি) ও ভূমিমালিক ইয়াসিন আলীর মধ্যে। চুক্তি মোতাবেক উভয়পক্ষ ১৪টি করে ফ্ল্যাট পাবেন বলেও বন্টন চুক্তিনামায় উল্লেখ আছে। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হবার পর এসপি আব্দুর রহিম চুক্তিনামা ভঙ্গ করে অতিরিক্ত তিনটি ফ্ল্যাট দবি করে বসেন। সে মোতাবেক তিনি মোট ১৭টি ফ্ল্যাট নেবেন বলে জানান ভূমিমালিক কে। চুক্তিপত্র ভঙ্গ করে অতিরিক্ত ফ্ল্যাট দখলে বাঁধা প্রদান করলে তিনি তার পদপদবীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফ্ল্যাট ক্রেতা-ভাড়াটিয়া ও ভূমিমালিক সহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের উপর চড়াও হন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শণ করেন। তার কথা না শুনলে পুলিশ ও মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা দিয়ে শায়েস্তা করার হুমকি ধামকি অব্যাহত রাখেন। এছাড়াও রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিথ্যা বর্ণনায় আমাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশের মাধ্যমে আমাদের দখলকৃত ফ্ল্যাটে ন্বাভাবিক কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। বিষয়টি নিয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র পাঁচজন কাউন্সিলরের সমন্বয়ে গঠিত সালিশী বোর্ড গঠণ করে একটি সুষ্ঠু সমাধান করে দিলেও এসপি আব্দুর রহিম সেই সেই সমাধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভিন্নভাবে পুলিশী ভয়ভীতি দেখিয়ে আমার পুরো পরিবারকে হয়রানির মধ্যে রেখেছেন।
এসপি (টাঙ্গাইল) আব্দুর রহিমের বৈআইনী কর্মকান্ডে আমরা হতাশ ও আতংকিত। পুলিশী অপশক্তি ও বহিরাগত মাস্তানবাহিনী দ্বারা আমাদেরকে বিল্ডিং থেকে উচ্ছেদ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজিপি ও রাজশাহী পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।