রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানাধীন অভয়ের মোড় থেকে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে অপহরণের ঘটনায় দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করেছে শাহমখদুম থানা পুলিশ। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়।
রোববার (২১ এপ্রিল) ভোর পৌনে ৫টায় আরাফাতকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। এসময় আসামির বাড়ি থেকে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার হয়। আসামি আরাফাতের দেওয়া তথ্যমতে অপর আসামি আতিকুর রহমানকে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাজশাহী কোর্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- মোঃ আরাফাত (১৯) ও মোঃ আতিকুর রহমান আতিক ওরফে রতন (২৫)। আরাফাত নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার চকপাহাড় গ্রামের মোঃ আশরাফুলের ছেলে ও আতিকুর রহমান রাজশাহী মহানগরীর দামকুড়া থানার জাঙ্গাল পাড়ার মোঃ শাহিনের ছেলে।
সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোঃ জামিরুল ইসলাম।
তিনি জানান, শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইসমাইল হোসেনের দিকনির্দেশনায় এসআই মোঃ আব্দুল মতিন ও তাঁর সঙ্গীয় ফোর্স রোববার (২১ এপ্রিল) ভোর পৌনে ৫টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে আসামি আরাফাতকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। এসময় আসামির বাড়ি থেকে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার হয়। আসামি আরাফাতের দেওয়া তথ্যমতে অপর আসামি আতিকুর রহমানকে সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় রাজশাহী কোর্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা জানায়, তারা আরও ২-৩ জনের সহযোগিতায় ঐ কলেজ ছাত্রীকে গত ১৬ এপ্রিল শাহমখদুম থানার অভয়ের মোড় হতে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অপহরণ করে রাজশাহী কোর্টে নিয়ে যায়। সেখানে আসামি আতিকুর রহমান ভুয়া কাজী সেজে তাদের বিয়ে দেয়। এরপর আসামি আরাফাত সেই কলেজ ছাত্রীকে তার নিজ বাড়িতে রেখে বিয়ের প্রতারণা করে ধর্ষণ করে আসছিল। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে শাহমখদুম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রুজু করে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, রাজশাহী মহাগরীর শাহমখদুম থানার ফুচকিপাড়ার ১৭ বছর বয়সী একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী গত ১৬ এপ্রিল সকাল ১১টায় বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু বাড়িতে সে ফিরে না আসায় তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে শাহমখদুম থানায় তারা একটি নিখোঁজ জিডি করেন।