২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১০:২৭:১৩ অপরাহ্ন


অনিয়মের অভিযোগে রাবিতে দুদকের অভিযান
রাবি প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৪-২০২৪
অনিয়মের অভিযোগে রাবিতে দুদকের অভিযান অনিয়মের অভিযোগে রাবিতে দুদকের অভিযান


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান ভবনের নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে রাজশাহী জেলা সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি প্রতিনিধি দল।

রবিবার (২১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টায় দুদকের এই প্রতিনিধি দল অভিযানে আসে। হটলাইনে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক রাজশাহী অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আমির হোসেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের হটলাইনে আসা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযানে এসেছি। প্রাথমিকভাবে কিছু অসঙ্গতি পেয়েছি। আমরা সব নথিপত্র যাচাই করে দেখব কোন দুর্নীতি হয়েছে কিনা৷ আমরা সাইট পরিদর্শন করব। যা পাওয়া যাবে তা কমিশনার বরাবর প্রতিবেদন দেওয়া হবে।

এ সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) রাজশাহী অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী পরিচালক মো. খায়রুল বাশার, সহকারী পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরে একটি মিটিংয়ে বসেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সেখানে উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক তারিকুল হাসান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার শাহরিয়ার রহমান, প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আবুল কালাম আজাদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৭০ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে এই হল নির্মাণ করা হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন এই হলের নির্মাণকাজ করছে।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের বালিশকাণ্ডে বেশ আলোচিত ছিল তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাদেরই একটি ‘মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড’। বালিশকাণ্ডের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে পড়া ঘটনায় আবারও আলোচনায় আসে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি।

উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের এক অংশের ছাদ ধসে পড়ে। এতে ৯ জন নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। সেই রাতেই জরুরি সভা ডেকে ওই ঘটনার কারণ নির্ধারণে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেসময় তদন্ত করে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে অনিয়ম পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।