রাজশাহীতে ভুয়া কাজীর দৌরাত্মা দীর্ঘদিনের। এনিয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন পত্রিকায় শতাধীক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সাংবাদিকরা বিয়ের আসর থেকে ভুয়া কাজীর কাজীর ভুয়া রেজিস্ট্রার উদ্ধার করে বিচারের দাবিতে রেজিস্ট্রারের নিকট জমা দিয়েছেন। লক্ষ্য ভুয়া কাজীর দৈরাত্মা বন্ধ হোক। এনিয়ে একাধীকবার জেলা রেজিস্ট্রারের দারস্থ হয়েছেন গণমাধ্যম কর্মীরা। আশ্বাস মিলেছে বারবারই। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে দৃশ্যমান মান কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
বিদায়ী জেলা রেজিস্ট্রার মোঃ মতিউর রহমান জানিয়েছিলেন, বিয়ের আসরে লাইসেন্সকৃত কাজীকে নিজ এলাকায় বিয়ে রেজিস্ট্রী করবে। তবে অন্য এলাকার কাজী এসে বিবাহ রেজিস্ট্রী করতে পারবেনা। কাজী একাধীক ভলিয়ম বহি ব্যবহার করতে পারবে না। বাস্তবে আইন মানে না অধিকাংশই কাজী।
গত সোমবার (৮এপ্রিল ২০২৪) রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার নওদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ভুয়া কাজী মোঃ খাইরুল ইসলাম, মোঃ মোকাদ্দিম হোসেন (শাওন) কাজীর স্বাক্ষর জাল করে ৬০০ টাকা নিয়ে ফরিদা পারভীন শিলা নামের এক বিয়ের কণ্যাকে ভুয়া কাবিননামা দিয়েছেন। ফলে ওই নারী প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
জানা গেছে, গত ইং ১২/১০/২০১৭ তারিখে রাসিক ১৮নং ওয়ার্ড পবাপাড়া গ্রামে ‘বর’ মোঃ আবুল বাসেদ রানা ও ‘কণ্যা’ ফরিদা পারভীন শিলা ১,৫০,০০০/-টাকা দেনমোহর ধার্য্যরে বিবাহ রেজিস্ট্রী করেন।
এ ব্যপারে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে ‘কণ্যা’ ফরিদা পারভীন শিলা জানান, মোঃ খাইরুল ইসলাম ভুয়া কাজী আমার জানা ছিলো না। তিনি আমাদের এলাকার মানুষ হওয়ার পরও সামান্য টাকার জন্য প্রতারণা করবেন, তা আমি ভাবতে পারিনি। তার ব্যপারে স্থানীয় কাউন্সিলরের কাছে অভিযোগ দিব।
এ ব্যপারে রাসিক ১৮নং ওয়ার্ডের নিকাহ্ রেজিস্ট্রার ও রাজশাহী জেলা মুসলিম নিকাহ্ রেজিস্ট্রার সমিতির সভাপতি কাজী মোঃ নুরুল আলম বলেন, মোঃ খাইরুল ইসলাম একজন ভুয়া নিকাহ্ রেজিস্ট্রার। তিনি বিভিন্ন নিকাহ্ রেজিস্ট্রারের সিল ও স্বাক্ষর জাল করে অর্থের বিনিময়ে বিবাহ্ রেজিস্ট্রী এবং কাবিন নামা দিয়ে থাকে। যাহা সাধারণ মানুষের সরাসরি প্রতারণার সামিল। তিনি দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন পাবলিক প্রেস থেকে সরকারী জাল ভলিয়ম সংগ্রহ করে বিবাহ্ তালাক রেজিস্ট্রী করে থাকেন। সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা মূলক কর্মকান্ডের জন্য অমি তার কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে সকল ভুয়া কাজীর বিরুদ্ধে রাজশাহী জেলা রেজিস্ট্রার এর কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।