সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লটপাটের ঘটনায় থানায় দায়েরকৃত ২টি মামলার ১৮৬জন আসামীর মধ্যে আলোচিত শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মেম্বারসহ মোট ৭২জনকে কারাঘারে পাঠিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে জেলার শাল্লা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১২৫জন আসামীরা হাজির হলে, তাদের মধ্যে স্বাধীন মেম্বারসহ ৭২জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাঘারে পাঠানো নির্দেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম।
এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ঠ আদালতের এডিশনাল পিপি এডভোকেট নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন- গত বছরের ১৬ মার্র্চ দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরশহরে হেফাজতে ইসলামের এক সমাবেশে বক্তব্য দেন তৎকালীন হেফাজত নেতা মামুনুল হক।
তার সেই বক্তব্যকে কেন্দ্র করে সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে একটি পোষ্ট করেন ঝুমন দাস। সেই পোষ্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিলে রাতে অভিযান চালিয়ে ঝুমন দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এঘটনার পরদিন ১৭ মার্চ সকালে শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মেম্বারের নেতৃত্বে জেলার শাল্লা ও দিরাই উপজেলার ৪-৫ গ্রামের কয়েক হাজার লোকজন রামদা ও লাটিসুটা নিয়ে হিন্দুপল্লী নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বসতবাড়ি ও মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এঘটনায় দেশ-বিদেশে শুরু হয় ব্যাপক তোলপাড়।
এঘটনার প্রেক্ষিতে ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় শাল্লা থানায় নোয়াগাঁও গ্রামবাসীর পক্ষে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিবেকান্দ মজুমদার ১টি ও ২২ মার্চ রাতে শাল্লা থানার এসআই আব্দুল করিম বাদী হয়ে আরো ১টি মামলা দায়ের করেন। থানায় দায়েরকৃত দুই মামলায় হামলার উস্কানীদাতা শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মেম্বারসহ প্রায় দেড় হাজার লোকজনকে আসামী করা হয়।
আর ফেসবুকে আপত্তিকর পোষ্ট করার কারণে ঝুমন দাসের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা। এসব মামলায় স্বাধীন মেম্বারসহ অন্যান্য আসামীরা এতদিন অস্থায়ী জামিনে ছিলেন।