২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০৮:৫৩:৩৬ অপরাহ্ন


জান্নাতিদের ৪ নেক আমল
ধর্ম ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৪-২০২৪
জান্নাতিদের ৪ নেক আমল প্রতিকী ছবি


সুরা জারিয়াতের ১৫ নং আয়াতে আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তাআলা মুমিনদের আখেরাতের আবাস্থলের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ঝর্ণাধারা শোভিত বাগানসমূহে হবে তাদের আবাস। তারা আল্লাহ তাআলার দান ও নেয়ামতের মধ্যে থাকবে। এরপর তাদের দুনিয়ার ৪টি নেক আমলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যে আমলগুলোর কারণে তারা জান্নাত লাভ করবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় মুত্তাকীরা থাকবে জান্নাতসমূহে ও ঝর্ণাধারায়,তাদের প্রতিপালক যা তাদেরকে দিবেন তা তারা ভোগ করবে, কারণ তারা পূর্বে (দুনিয়ার জীবনে) ছিল সৎকর্মশীল; রাতের সামান্য অংশই ঘুমিয়ে কাটাতো। রাতের শেষ প্রহরে ক্ষমা প্রার্থনায় রত থাকত এবং তাদের সম্পদে আছে অভাবগ্রস্ত ও বঞ্চিতদের অধিকার (যা তারা আদায় করত)। (সুরা জারিয়াত: ১৫-১৯)

এ আয়াতগুলোতে জান্নাতিদের যে ৪ নেক আমলের কথা বলা হয়েছে:

১. মুহসিন বা সৎকর্মশীলতায় উৎকর্ষ লাভকারী: ইহসান হলো ইবাদতে সৌন্দর্য ও পরিপূর্ণতা অর্জন করা। হাদিসে এসেছে, ইহসান অর্থ এমনভাবে ইবাদতের চেষ্টা করা, যেন ইবাদতকারী আল্লাহকে দেখছে, যদিও তারা আল্লাহকে দেখতে পায় না, তবে তারা নিঃসন্দেহে বিশ্বাস করে যে, তিনি নিঃসন্দেহে তাদেরকে দেখছেন।।

২. রাত জেগে ইবাদত করা: রাত জেগে আল্লাহর ইবাদত করা, তাহাজ্জুদের নামাজ পড়া অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। আল্লাহর নবি, তার প্রিয় ও নেক বান্দারা এ আমলে অভ্যস্ত ছিলেন। আবু হোরায়রা (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, আমাদের রব আল্লাহ তায়ালা প্রতি রাতে যখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে, তখন প্রথম আকাশে নেমে এসে বলতে থাকেন, কে আমাকে ডাকবে যে আমি তার ডাকে সাড়া দেব? কে আমার কাছে চাইবে যে আমি তাকে দেব? কে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে যে আমি তাকে ক্ষমা করে দেব? (সহিহ বুখারি: ১১৪৫)

৩. শেষ রাতে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা: রাত জেগে নামাজ ও তিলাওয়াতের পাশাপাশি ইস্তেগফার বা ক্ষমা প্রার্থনাও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য সহায়ক আমল। কোরআনের বিভিন্ন আয়াতে ইস্তেগফার বা তওবা করলে রিজিক বৃদ্ধি, উত্তম প্রাকৃতিক পরিবেশ, সম্পদ ও সন্তান দিয়ে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। দুনিয়ার সুখ সমৃদ্ধি দান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

৪. অভাবী ও বঞ্চিতদের দান করা: মুসলমানদের একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য দানশীলতা। সম্পদশালী মুসলমানদের ওপর প্রতি বছর নির্দিষ্ট পরিমাণ দান করা ফরজ যা জাকাত হিসেবে পরিচিত। জাকাত ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। জাকাত আদায় না করা কবিরা গুনাহ। আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মুমিনগণ, আমি তোমাদেরকে যে রিজিক দিয়েছি তা হতে ব্যয় কর, সে দিন আসার পূর্বে, যে দিন থাকবে না কোন-বেচাকেনা, না কোন বন্ধুত্ব এবং না কোন সুপারিশ। আর কাফিররাই জালিম। (সুরা বাকারা: ২৫৪)

জাকাতের বাইরে নফল দানও অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। আল্লাহ বলেন, যারা তাদের সম্পদ ব্যয় করে রাতে ও দিনে, গোপনে ও প্রকাশ্যে। অতএব, তাদের জন্যই রয়েছে তাদের রবের নিকট তাদের প্রতিদান। আর তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না। (সুরা বাকারা: ২৭৪)