২৭ নভেম্বর ২০২৪, বুধবার, ০৯:৩৮:২৫ অপরাহ্ন


বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ; গ্রেফতার ধর্ষক হাসিবুর
দুর্গাপুর প্রতিনিধি:
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৩-২০২৪
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ; গ্রেফতার ধর্ষক হাসিবুর বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ; গ্রেফতার ধর্ষক হাসিবুর


বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি হাসিবুর রহমানকে (২১ )গ্রেফতার করছে পুলিশ।

শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার ঝালুকা ইউনিয়নের সায়বাড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতার হাসিবুর রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার সায়বাড় এলাকার আশরাফ আলীর ছেলে।

শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদিউজ্জামন ।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা জানান, ভুক্তভোগীর একই উপজেলার পাশাপাশি হওয়ার সুবাদে আসামি হাসিবুরের সাথে পারিবারিকভাবে ২০২২ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। দীর্ঘ এক বছর সংসার করার পরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আদালতের মাধ্যমে ডিভোর্স হয়। আসামি ডিভোর্স দেওয়ার এক সপ্তাহ পরে ভুক্তভোগীকে ভুল হয়েছে বলে পুনরায় সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আসামি ভুক্তভোগীকে ঢাকায় নিয়ে যান। সেখানেই তাদের সুন্দর সুখের সংসার গড়ে তুলেন। এর মধ্যেই ভুক্তভোগীর গর্ভে আসামি হাসিবুর রহমানের সন্তান আসেন।

কিন্তু হঠাৎ করেই ভুক্তভোগীর গর্ভের সন্তানকে অস্বীকার করেন আসামি হাসিবুর রহমান। আসামি তড়িঘড়ি করে ভুক্তভোগী কে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। পরে আসামি হাসিবুর রহমান কৌশলে ভুক্তভোগী কে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। সেই থেকেই আসামির ভুক্তভোগীর সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। এমনকি সে আমার স্ত্রী নয় বলে অস্বীকার করে। 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ওই মামলা শুক্রবার রাতে দুর্গাপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেন।

দুর্গাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল ইসলাম জানান, আদালতের আদেশে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী। ঘটনার পরই আসামি হাসিবুর রহমান আত্মগোপনে চলে যায়। পরে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার সকালে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।