আজান শব্দের অর্থ হচ্ছে ডাকা, আহবান করা। ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় জামাআতের সহিত নামাজ আদায় করার লক্ষ্যে মানুষকে মসজিদে একত্রিত করার জন্য আরবি নির্দিষ্ট শব্দ ও বাক্যের মাধ্যমে উচ্চকণ্ঠে ডাক দেয়া বা ঘোষণা করাকেই আজান বলা হয়।
আর ইক্বামাত শব্দের অর্থ হচ্ছে দাঁড় করানো, প্রতিষ্ঠা করা। অর্থাৎ জামাআতে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে নামাজের পূর্ব মূহুর্তে আজানের শব্দ বা বাক্য দ্বারা নামাজ আরম্ভ হওয়ার ঘোষণাকেই ইক্বামাত বলা হয়। যাতে আজানের চেয়ে একটি বাক্য অতিরিক্ত রয়েছে। তা হলো- قد قامت الصَّلوة (ক্বাদ ক্বামাতিস সালাহ)। মৌখিকভাবে মুয়াজ্জিনের সঙ্গে শ্রবণকারীদের জন্য আজানের উত্তর দেয়া সুন্নাত। আজান ও ইক্বামাতের উত্তর সমূহ তুলে ধরা হলো-
মুয়াজ্জিন- اَللهُ اَكْبَرْ (আল্লাহু আকবার) ৪ বার
শ্রবণকারী- اَللهُ اَكْبَرْ (আল্লাহু আকবার) ৪ বার
মুয়াজ্জিন- اَشْهَدُ اَنْ لَا اِلَهَ اِلَّا الله (আশহাদু আল লাইলাহা ইল্লাল্লাহ) ২ বার
শ্রবণকারী- اَشْهَدُ اَنْ لَا اِلَهَ اِلَّا الله (আশহাদু আললা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ২ বার
মুয়াজ্জিন- اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ (আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ) ২ বার
শ্রবণকারী- اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ (আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ) ২ বার
মুয়াজ্জিন- حَيَّ عَلَي الصَّلوةِ (হাইয়্যা আলাস সালাহ) ২ বার
শ্রবণকারী- لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ (লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ) ২ বার
মুয়াজ্জিন- حَيَّ عَلَي الفَلَاحِ (হাইয়্যা আলাল ফালাহ) ২ বার
শ্রবণকারী- لَا حَوْلَ وَ لَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ (লা হাওলা ওয়া লা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ) ২ বার
[ফজরের আজানের সময়
মুয়াজ্জিন- اَلصّلَوةُ خَيْرٌمِّنَ النَّوْمِ (আসসালাতু খাইরুম মিনান নাউম) ২ বার
শ্রবণকারী- صَدَقْتَ وَ بَرَرْتَ (সাদাক্বতা ও বারারতা) ২ বার
ইক্বামাতের সময়
মুয়াজ্জিন- قَدْ قَامَتِ الصَّلَوة (ক্বাদ ক্বামাতিস সালাহ) ২ বার
শ্রবণকারী- اَقَامَهَا اللهُ وَاَدَّمَهَا مَا دَامَتِ السَّمَوَتُ وَ الْاَرْضُ (আক্বামাহাল্লাহু ওয়া আদ্দামাহা মা দামাতিস সামাওয়াতু ওয়াল আরদু) ২ বার]
মুয়াজ্জিন- اَللهُ اَكْبَرْ আল্লাহু আকবার (২ বার)
শ্রবণকারী- اَللهُ اَكْبَرْ আল্লাহু আকবার (২ বার)
মুয়াজ্জিন- لَا اِلَهَ اِلَّا الله (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ১ বার
শ্রবণকারী- لَا اِلَهَ اِلَّا الله (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ১ বার
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আজানের জবাবে অনুরূপ বলবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসলিম শরীফ)
সুতরাং আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে আজান ও ইক্বামাতে মুয়াজ্জিনের সঙ্গে সঙ্গে উত্তর দেয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।