রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও বিভিন্ন প্রাইভেট হসপিটাল এবং ক্লিনিকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে দালাল চক্রের ১২ জন সক্রিয় সদস্য গ্রেফতার র্যাব।
এ সময় গ্রেফতারকৃত দালালদের বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা-সহ ১লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকাল ১০ থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলা অভিযানে তাদের গ্রেফতার, জরিমানা ও কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
৭দিনের সাজাপ্রাপ্তরা হলো: মোঃ জামাল হোসেন (৪০), সে মহানগরীর রাজপাড়া থানার সিপাইপাড়া এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে, মোঃ সাবজাল হক (৫২), একই থানার লক্ষীপুর এলাকার মৃত ইব্রাহিম খলিলের ছেলে, মোঃ মোতাসসিম ওরফে রুপক (৩২), সে বহরমপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে, মোঃ রনি শেখ (২৫), সে বগুড়া জেলার আদমদিঘী থানার চাঁপাপুর এলাকার মৃত আব্দুর রশিদ শেখের ছেলে, মোঃ সজল (৪২), সে সিপাইপাড়া এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে (তাকে ৪দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড) মোঃ আব্দুল জলিল (৫৫), সে সিপাইপাড়া এলাকার মৈরুদ্দিন প্রামাণিকের ছেলে (তাকে ৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড), মোঃ রাজন আলী (৩৫), সে মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার হোসনীগঞ্জ এলাকার নিমরোজ আলীর ছেলে, মোঃ মুরসালিন (২৪), সে রাজপাড়া থানার কেশবপুর এলাকার মৃত লিটনের ছেলে, তাকে (৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড), আহমদ আলী (৩০), সে একই থানার ডাঁশপুকুর এলাকার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে, তাকে (৩দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড), মোঃ রয়েল হোসেন অপু (৩২), সে কাশিয়াডাঙ্গা থানার কাঁঠালবাড়িয়া এলাকার সামসুদ্দিনের ছেলে, (৪ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড), মোঃ শাহিন আলম পিয়াস (২৪), সে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল থানার মুরগিডাঙ্গা এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে, মোঃ সোহেল রানা (২৪), সে নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার আকেজীগঞ্জ এলাকার আমিরুল ইসলামের ছেলে (তাকে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার র্যাব-৫, রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
র্যাব জানায়, সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা দীর্ঘদিন যাবত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং হাসপাতালের আশ-পাশ এলাকায় অবস্থান করে সাধারণ মানুষের নিকট নিজেদেরকে হাসপাতালের এবং ডাক্তারদের কাছের লোক বলে পরিচয় প্রদান করে। রোগীদের উন্নত চিকিৎসার লোভ দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়। রাজশাহী মেডিকেলে অল্প খরচে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেওয়ার আশায় রোগীদের স্বজনদের নিকট হতে টাকা হাতিয়ে নেয়। সরকারী এ্যাম্বুলেন্সে যাতায়াত করিয়ে দেওয়ার কথা বলে রোগীদের স্বজনদের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নেয়। এছাড়াও বিভিন্ন ভাবে রোগীদের হয়রানি মূলক কর্মকান্ডসহ রোগীদের এবং রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে হাসপাতালের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়।
তাদের বিরুদ্ধে দন্ড বিধি- ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারায় বিচার করতঃ বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন আসামীদের রাজশাহী কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে আল শেফা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মোঃ ডাবলু, সে রাজপাড়া থানার কাজীহাটা এলাকার মৃত আজাহার আলীর ছেলে। তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়, রাজশাহী কিডনী ডায়ালাইসিস এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মোঃ বাচ্চু রহমান, সে বাগমারা থানার হাজরাপাড়া এলাকার মোঃ আঃ সামাদের ছেলে, তাকে ২০হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়, মেডিকো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক উম্মে মনিরা, মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার মেহেরচন্ডী এলাকার মোঃ আঃ হামিদের স্ত্রী, তাকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং সানবিম হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সীলগালা করেন ভ্রাম্যমান আদালত।