আস্ত একটা সাম্রাজ্যের বিনাশের পিছনে ছিলেন একজন নারী। এমন ইতিহাস রয়েছে। তবে আজ আমরা যে মহিলার কথা বলব, তিনি একাধারে যেমন ডাকসাইটে সুন্দরী, তেমনই ভয়ঙ্কর।
বহু কূট সম্রাজ্ঞীর জন্য আস্ত একটা সাম্রাজ্যের পতন হয়েছে। আবার অনেক সময় নারীশক্তির ভুল প্রয়োগ ও স্বেচ্ছাচারিতার মাশুল গুনতে হয়েছে গোটা একটা রাজবংশকে। ইতিহাস ঘাঁটলে এমন নজির পাওয়া যাবে প্রচুর। তবে বহু নারী এমনও ছিলেন যাঁদের সুচেতন পরামর্শে আস্ত এক সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব রক্ষা পেয়েছিল।
আজ আমরা যাঁকে নিয়ে কথা বলব তিনি এক কুখ্যাত রোমান সম্রাজ্ঞী। তাঁর নাম মেসালিনা। রোমান সম্রাট ক্লদিয়াসের তৃতীয় স্ত্রী তিনি। ইতিহাস তাঁকে মনে রেখেছে নৃশংসতা, খুনে মানসিকতার জন্য।
৪১-৪৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এই মহিলা ছিলেন আস্ত একটা সাম্রাজ্যের পতনের কারণ। তাঁর কথা ইতিহাসের অন্ধকার অধ্যায়ে লেখা রয়েছে। স্বামী ক্লদিয়াসকে খুন করে রাজ সিংহাসনে অধিকার কায়েম করেছিলেন মেসালিনা। পরে অবশ্য তিনিও রেহাই পাননি।
স্বামীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে পার পাননি তিনি। শেষমেশ তাঁর কুকীর্তি ফাঁস হয়ে যায়। মৃত্যদণ্ড ভোগ করতে হয় তাঁকে। জানা যায়, এই মেসালিনা ছিলেন মধ্যযুগের সবচেয়ে শক্তিশালী ও প্রভাবশালী মহিলা। নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে তিনি যে কাউকে ঠকাতে পারতেন।
জানা যায়, মেসালিনা ছিলেন নিম্ফোম্যানিয়াক। অর্থাৎ দেদার যৌনতা ছিল তাঁর নেশা। অস্বাভাবিক যৌনাকাঙ্ক্ষা তাঁকে তাড়িয়ে বেড়াত। সে জন্য তিনি নাকি স্বেচ্ছায় যৌনপল্লীতে গিয়েছেন। ইতিহাস বলছে, তিনি নাকি প্রতিদিন সঙ্গী পরিবর্তন করতেন।
অসাধারণ ছবি আঁকতেন মেসালিনা। তবে তাঁর জীবনে বড় বিপদ ডেকে এনেছিল অতিরিক্ত যৌনতা। শোনা যায়, ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন পুরুষের শয্যাসঙ্গীনি হয়েছিলেন এই রোমান সম্রাজ্ঞী।