শীতের রোদে বর্ণময় চন্দ্রমল্লিকার রংবাহার দেখার মতো৷ নানা রঙের ও আকৃতির চন্দ্রমল্লিকা এই মরশুমে ফোটে গাছ আলো করে৷ চন্দ্রমল্লিকা গাছ যত ঝাঁকড়া ও ঘন হবে, দেখতে তত ভাল লাগবে৷ চন্দ্রমল্লিকা গাছ লাগানোর পর এর অগ্রভাগ ছেঁটে দিন বা প্রুনিং করে দিন৷ তাহলে গাছটি ঝাঁকড়া হয়ে বাড়বে৷ প্রুনিং-এর পর এর চারপাশে যে ডালপালা বার হবে, সেগুলিও ছেঁটে দিন৷
গাছের যত্নের জন্য সারপ্রয়োগও করতে হবে৷ দু’ সপ্তাহ আগে ভিজিয়ে রাখা সর্ষের খোল সার হিসেবে দিন চন্দ্রমল্লিকা গাছের গোড়ায়৷ তবে একদম ছোট অবস্থায় চারাগাছে বেশি সার দেবে না৷ গ্রো-ব্যাগে শুধু মাটি দিয়েই রাখুন৷ গাছ একটু বড় হতে সার ও কীটনাশক দিন৷ দুটোই জৈব হওয়া প্রয়োজন৷
গ্রোব্যাগে দেড় মাস রাখার পর ৮ ইঞ্চির টবে বসান চন্দ্রমল্লিকা গাছ৷ এই গাছে বৃষ্টির জল বেশি লাগতে দেবেন না৷ পচা পাতা, কুঁকড়ে যাওয়া পাতা কেটে ফেলে দিন৷ যাঁরা ব্যবসায়িক কারণে চন্দ্রমল্লিকা বসাবেন তাঁরা সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে প্রস্তুতি শুরু করুন৷
যাঁদের চন্দ্রমল্লিকা গাছে কুঁড়ি ফুটে গিয়েছে, তাঁরা সার দেওয়া বন্ধ করুন৷ সে সময় শুধু জল দিন৷ তাও পরিমিত পরিমাণে৷ সার বেশি দিলে ফুলের স্থায়িত্ব বেশি হয় না৷ গাছের মাথায় শেড করে দিন৷ যাতে বৃষ্টির জল বা শিশির পড়তে না পারে৷ শুকিয়ে যাওয়া ফুল ফেলে দিন৷ চন্দ্রমল্লিকা গাছে কুঁড়ি এলে কীটনাশক দিন৷ শিশির থেকে রক্ষা করতে শেডের নীচে রাখুন৷