সবুজ আপেলের উপকারিতা সম্পর্কে জানেন কি? প্রায় সব ধরনের পুষ্টি উপাদান আছে আপেলে। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। চিকিৎসক রঞ্জিত দত্ত জানান, “লাল আপেলের তুলনায় সবুজ আপেলে বেশি ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজসহ আরও অনেক উপকারী উপাদান আছে। সবুজ আপেল ভিটামিন এ সমৃদ্ধ যা, দৃষ্টি শক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। তাই দৃষ্টি শক্তি উন্নত করতে নিয়মিত সবুজ আপেল খাওয়া উপকারী!”
তবে দাম আকাশ ছোঁয়া হলেও চাহিদা রয়েছে বেশ ভালই। দেখা গিয়েছে যে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে দারুণ কার্যকরী এই ফল। এমনকি এতে রয়েছে বেশ ভাল পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বাজারে এই সবুজ আপেলের দাম প্রায় ৪০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা কিলো। এছাড়াও দেখা গিয়েছে যে এরমধ্যে থাকা ফাইবার কিন্তু শরীরের জন্য ভাল। তাই এই ফল খাওয়া উচিত নিয়মিত।
সবুজ আপেলের সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ উপদান হল ফাইবার। যা সবুজ আপেলে আছে প্রচুর পরিমাণে। সবুজ আপেলের এই ফাইবার উপাদান আমাদের পেটের যেকোনো সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে ও পরিপাক প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হতে সহায়তা করে। সবুজ আপেল আমাদের দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণে শক্তি যোগায়। সবুজ আপেলে বিদ্যমান আছে অন্যতম উপাদান কার্বোহাইড্রেট। যা আমাদের দেহের জন্য খুব উপকারি। বিশেষ করে যারা খেলাধুলা করেন, কঠোর পরিশ্রম করেন তাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় সবুজ আপেল রাখা আবশ্যক।
প্রতিদিনের খাবারের পাতে আপেল রাখার পাশাপাশি সবুজ আপেল দিয়ে কিন্তু ত্বক এবং চুলের পরিচর্যাও করা সম্ভব। কারণ এই ফলে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলস এবং ফাইবার। এই সব উপাদানই ত্বক এবং চুলের পুষ্টিতে কাজে লাগে।
ত্বকের বলিরেখা রুখতে সাহায্য করে এই সবুজ আপেল। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ, সি বয়সের আগে ত্বকের মধ্যে বলিরেখা পড়তে দেয় না। কারণ এইসব উপাদান সঠিক ভাবে ত্বকের পুষ্টি জোগায়। মরা কোষ তুলতে সাহায্য করে। ডার্ক সার্কেল কমায়। অর্থাৎ অ্যান্টিএজিংয়ের কাজ করে এই ফল। তাহলে প্রত্যহ খাবারের পাতে রাখা যেতেই পারে গ্রিন অ্যাপেল।