২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার, ০৭:০১:০৪ অপরাহ্ন


সবথেকে ছোট দিন আজ, সবচেয়ে বড় রাত!
তুরজিম তানজিম :
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-১২-২০২৩
সবথেকে ছোট দিন আজ, সবচেয়ে বড় রাত! সবথেকে ছোট দিন আজ, সবচেয়ে বড় রাত!


আজ শুক্রবার এ বছরের বা মকর সংক্রান্তি পড়েছে ৷ এর সঙ্গে পৌষমাসের পিঠেপুলি পায়েস খাওয়ার সংক্রান্তির কোনও সম্পর্ক নেই৷ আজকের দিন সূর্যরশ্মি সরাসরি উল্লম্ব ভাবে পড়বে মকরক্রান্তি রেখা (২৩.৫ ডিগ্রি দক্ষিণ)-র উপরে৷ তাই আজকের দিনকে বলা হয় মকর সংক্রান্তি৷ উত্তর গোলার্ধে আজ সবথেকে ছোট দিন এবং সবথেকে বড় রাত থাকবে৷ দক্ষিণ গোলার্ধে ঠিক এর বিপরীত৷ সবথেকে বড় দিনের দৈর্ঘ্য এবং রাত সবথেকে ছোট৷

প্রতি বছর ২১ থেকে ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে একদিন হয় উইন্টার সলস্টিস৷ “solstice” শব্দটির উৎপত্তি ল্যাটিন শব্দ solstitium থেকে। লাতিন শব্দ ‘sol’ মানে সূর্য, ‘stice’ মানে স্থির । এই দু’টি শব্দের সমন্বয়ে শব্দটি তৈরি হয়েছে, যার অর্থ “সূর্য স্থির।” এই দিনেই সূর্যের দক্ষিণায়ন গতির শেষ৷ উত্তরায়ন গতি শুরু হয়৷ অর্থাৎ এ বার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার সময় পৃথিবীর উত্তর অংশ সূর্যের দিকে আনত হবে৷

প্রতি বছর ২১-২৩ জুনের মধ্যে একটি দিন কর্কট সংক্রান্তি হয়৷ অর্থাৎ সূর্যরশ্মি উল্লম্ব ভাবে পড়ে কর্কটক্রান্তি রেখায় (২৩.৫ ডিগ্রি উত্তর)৷ সেদিন উত্তর গোলার্ধে সবথেকে বড় দিন এবং সবথেকে ছোট রাত৷ দক্ষিণ গোলার্ধে ঠিক এর বিপরীত৷ কর্কট সংক্রান্তির পর থেকে শুরু হয় সূর্যের ছয়মাসব্যাপী দক্ষিণ অভিমুখী অভিযাত্রা৷ একেই বলা হয়ে থাকে দক্ষিণায়ন। আবার মকরসংক্রান্তির পর থেকে শুরু সূর্যের ৬ মাস ব্যাপী উত্তরায়ন যাত্রা৷

আজ ভারতে সূর্যোদয় সকাল ৭.০৫ মিনিটে। এবং সূর্যাস্ত বিকাল ৫.৪৫ মিনিটে। এ দিন ভারতে দিনের সময়সীমা হল ১০ ঘণ্টা ৪১ মিনিটের। অন্য দিকে রাত কিছুটা বড়। ১৩ ঘণ্টা ১৯ মিনিট রাতের সময়সীমা।

দক্ষিণায়ন গতি শেষে আজ থেকে শুরু হবে উত্তরায়ন৷ অর্থাৎ উত্তর গোলার্ধে দিনের দৈর্ঘ্য বাড়তে থাকবে৷ বাড়বে সূর্যালোকের পরিমাণও৷ তাই সেই সূর্যরশ্মির পজিটিভ দিককে কাজে লাগান৷ বাড়িঘর পরিষ্কার পরিচ্ছন করুন৷ দূর করুন নোংরা আবর্জনা৷

শীতে খাবার সংগ্রহ করতে পশুপাখিদের কষ্ট পেতে হয়৷ তাই এই বিশেষ দিনে তাদের জন্য কিছু খাবার বরাদ্দ করতে ভুলবেন না৷ পাখিদের জন্য খাবারের বন্দোবস্ত করুন৷ বাগান সাফসুতরো করুন৷ ঘরের কাছে গাছগুলিকে সাজিয়ে তুলুন৷

অন্নবস্ত্র দান করুন দরিদ্রদের৷ শীতকালে পথবাসী মানুষও নিদারুণ কষ্টে থাকেন৷ তাঁদের দিকেও বাড়িয়ে দিন সাহায্যের হাত৷ বাড়ির বাইরে নিরাপদে আগুন জ্বালানোর বন্দোবস্ত করুন৷ যাতে পথচলতি মানুষ ঠান্ডায় একটু আরাম পেতে আগুন পোহাতে পারেন৷