এবার বাজারে ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) পণ্য নিয়ে আসলো গ্রামীণফোন লিমিটেড। আর এসব পণ্য নিয়ন্ত্রণে ‘আলো’ নামের একটি অ্যাপও উদ্বোধন করেছে কোম্পানিটি। নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ ও যোগাযোগ সুবিধা নিশ্চিতের মাধ্যমে ভবিষ্যৎমুখী প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনী চর্চার ধারাবাহিকতায় অংশ এ উদ্যোগ। আজ (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মোট ৮টি আইওটি পণ্য ও অ্যাপটি উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইয়াসির আজমান, চিফ বিজনেস অফিসার ড. আসিফ নাইমুর রশিদ, চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সাজ্জাদ হাসিবসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।
আইওটি পণ্যগুলো হলো – আলো ভেহিকেল ট্র্যাকার প্রো, আলো ভেহিকেল ট্র্যাকার ওবিডি, আলো ভেহিকেল ট্র্যাকার, আলো রিমোট সকেট, আলো রিমোট সুইচ, আলো ডিটেক্টর, আলো গ্যাস ডিটেক্টর এবং আলো স্মোক ডিটেক্টর। আলো স্মার্ট আইওটি সল্যুশনস’র আওতাভুক্ত এ পণ্যগুলো স্মার্ট হোম, স্মার্ট অফিস এবং স্মার্ট ট্রান্সপোর্টেশন অর্থাৎ যানবাহন ব্যবস্থা নিশ্চিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সুবিধা সম্বলিত এই ডিভাইসগুলো কেবল একটি অ্যাপ ব্যবহার করেই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, ফলে ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ স্বাচ্ছন্দ্য উপভোগ করতে পারবেন।
এ উন্মোচনের মাধ্যমে নিজেদের টেলকো-টেক রূপান্তর যাত্রায় আরো এক ধাপ এগিয়ে গেল গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠানটি সকল প্রযুক্তি ও গ্যাজেট প্রেমীদের অনন্য এ উদ্ভাবনের অভিজ্ঞতা গ্রহণে নিজেদের এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আগ্রহীরা এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারে এসে নতুন এই পণ্যগুলো সরাসরি দেখতে পারবেন এবং এর সেরা উপযোগিতা কীভাবে পাওয়া যায়, সে সম্পর্কেও সহায়ক তথ্য পাবেন। পাশাপাশি, বিভিন্ন শিল্পখাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সমূহ কীভাবে গ্রামীণফোনের আইওটি পণ্য কাজে লাগিয়ে নিজেদের কার্যক্রম আরো গতিময় করে তুলতে পারবে, তাও জানা যাবে এক্সপেরিয়েন্স সেন্টার থেকে। আগ্রহী ক্রেতারা আগামী ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে গ্রামীণফোনের রাজধানীর গুলশান-২, জিপিহাউস, বসুন্ধরা এবং চট্টগ্রামে জিইসি মোড়ে অবস্থিত এক্সপেরিয়েন্স সেন্টারের মাধ্যমে পছন্দের আইওটি পণ্যগুলো প্রি-বুক করতে পারবেন। বিস্তারিত তথ্যের জন্য গ্রাহকরা গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন।
গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইয়াসির আজমান বলেন, “গ্রামীণফোনের প্রত্যেকে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে একটি প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়ার সম্ভাবনাকে অন্তরে ধারণ করেন। আমাদের উপলব্ধি করতে হবে যে, স্মার্ট ডিভাইস, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং আন্তসংযোগের সক্ষমতাকে পুঁজি করে আরো নিরাপদ, স্বাস্থ্যকর ও সুখী ভবিষ্যতের পথে প্রযুক্তির হাত ধরে এগিয়ে যাওয়ার এখনই সময়। আমাদের নতুন আইওটি পণ্যগুলো বাজারে নিয়ে আসার মাধ্যমে আজ বাংলাদেশে ডিজিটাল জীবনযাত্রার ভবিষ্যত রচনায় এক নতুন অধ্যায় যুক্ত হলো। প্রতিটি যোগাযোগই যেখানে অনন্য এক অভিজ্ঞতার দরজা খুলে দেবে – ডিজিটাল মাধ্যমে সংযুক্ত তেমনই একটি পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে আজ আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম।”
গ্রামীণফোনের চিফ বিজনেস অফিসার কর্মকর্তা ড. আসিফ নাইমুর রশিদ বলেন, “আসুন আমরা এমন এক ভবিষ্যৎকে স্বাগত জানাই, যেখানে উন্নয়নের চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করবে স্মার্ট কানেক্টিভিটি। আমাদের স্মার্ট হোম, অফিস ও ট্রান্সপোর্টেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে আন্তসংযুক্ত বুদ্ধিমত্তা ও উন্নত সেবার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। কাজের সক্ষমতা বৃদ্ধি, সুনির্দিষ্ট তথ্য এবং অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় দ্রুততর গতি ও কার্যকারিতার মাধ্যমে রূপান্তরের এক নতুন গল্প লিখতে সহায়তা করবে- ‘আলো’। আর গ্রামীণফোন আপনাদের সকলকে এই গল্পের একটি অংশ হওয়ার আমন্ত্রণ জানায়।”
দেশে আইওটি’র মত আধুনিক সব ডিজিটাল সমাধানের কার্যকরী বাস্তবায়নে একাগ্রে কাজ করে চলেছে গ্রামীণফোন, যার অংশ হিসেবে ২০২২ সালে প্রতিষ্ঠানটি সফলভাবে ফাইভজি ট্রায়াল সম্পন্ন করে। পাশাপাশি, স্মার্ট ডেটা ডেলিভারি সিস্টেম প্রয়োগ, স্পেকট্রামের যথাযথ প্রয়োগ, ফাইবারাইজেশনের ক্ষেত্রে সক্রিয়তা ও হাই ডেফিনেশন ভয়েস (ভিওএলটিই) সুবিধা নিশ্চিত করাসহ নানাভাবে এক্ষেত্রে উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে গ্রামীণফোন। ‘আলো’ আইওটি’র উন্মোচন টেলকো-টেক ব্র্যান্ড হিসেবে নিজেদের অবস্থান গড়ে তোলার যাত্রায় গ্রামীণফোনের এক বিশেষ পদক্ষেপ। ‘আলো’র বাংলা শাব্দিক অর্থকেই কেন্দ্র করে আলো আইওটি’র ধারণা গড়ে উঠেছে, যার মাধ্যমে প্রতিটি ব্যবহারকারীর অন্তর্নিহিত আলোকে আরো উজ্জ্বল করে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ গ্রামীণফোন।