২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০৪:২৩:০৭ অপরাহ্ন


পেঁয়াজ আমদানিতে বিকল্প বাজারে ঝুঁকছে সরকার
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-১২-২০২৩
পেঁয়াজ আমদানিতে বিকল্প বাজারে ঝুঁকছে সরকার


প্রতিবেশী দেশ ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণার পর দেশের বাজারে অস্থিরতা চলছে। এই অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানিতে জোর দিচ্ছে সরকার। অন্যদিকে গতকাল চীন-পাকিস্তান থেকে ২২৬ টন পেঁয়াজ চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে। এ ছাড়াও বিকল্প দেশ হিসেবে মিয়ানমার, মিসর, তুরস্ক ও নেদারল্যান্ডস থেকেও পেঁয়াজ আমদানির কথা ভাবছে সরকার।

 

গত ৭ ডিসেম্বর ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ রাখার ঘোষণা দিলে বাজারে প্রতি কেজিতে বেড়েছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা । ভারত থেকে আমদানি করা পুরোনো পেঁয়াজ এখন ২২০ থেকে ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চায়না মোটা পেঁয়াজ ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজ ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কোথাও আবার বাজার থেকে উধাও পেঁয়াজ। এই অবস্থায় সরকার ভারতের বিকল্প দেশ থেকে দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে। তবে চলতি বছর অতিরিক্ত উৎপাদন ও আমদানি হলেও এর সুফল পাচ্ছে না ভোক্তারা। পেঁয়াজের বাজার অসাধু ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে।

 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, দেশে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৬ থেকে ২৮ লাখ টন। গত অর্থবছর উৎপাদন হয়েছে ৩৪ লাখ টন। ফসল তোলা ও উৎপাদন পর্যায়ে নষ্ট হয়েছে ৬ লাখ টন। আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুসারে ২০২২ সালে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে ৭ লাখ ২৭ হাজার টন। চলতি ২০২৩ সালের গত ১১ মাসে ৮ লাখ ৬৪ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এ সময় গত বছরের মোট আমদানির চেয়ে চলতি বছরের আরও ১ মাস আগে বেশি হয়েছে ১ লাখ ৩৭ হাজার টন।

 

এই প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজ আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান থেকে খুব দ্রুত পেঁয়াজ আমদানি করা হবে। এটা টিসিবির মাধ্যমে এই পেঁয়াজ আনা হচ্ছে। সাশ্রয়ী দামে ভোক্তাদের এই পেঁয়াজ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে তুরস্ক ও চীন থেকে পেঁয়াজ আনার চেষ্টা চলছে। 

 

এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের পেঁয়াজ আমদানির আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বেসরকারি পর্যায়ে পেঁয়াজ আমদানি করতে আলোচনা হয়েছে। তাদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সহায়তা করবে।

 

বাণিজ্য সচিব বলেন, দেশে পেঁয়াজের সংকট নেই। অতিরিক্ত উৎপাদন হয়েছে। আমাদের কৃষি সচিব নিশ্চিত করেছেন এর সুফল পাবে ভোক্তারা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়, ৫২ হাজার টন এলসি খোলা আছে। সেই পেঁয়াজ দেশে আনা নিশ্চিত করতে বলা হয়।

 

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে সরকারি পর্যায়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজ দেশের স্থলবন্দর ও কাস্টমসকে দ্রুত খালাসে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।