দিব্যি ট্রেন চলছিল পাতালপথ ধরে। কিন্তু চলতে চলতেই হঠাৎই মাঝপথে সুড়ঙ্গের মধ্যে থেমে গেল মেট্রো। কিছু বোঝবার আগেই কিছুক্ষণের মধ্যেই নিভে যেতে থাকল কামরার সমস্ত আলো। অভাবিত বিপর্যয়ের এ-ছবি লন্ডন মেট্রোর।
তবে অভাবিতের তখনও ঢের বাকি ছিল। সুড়ঙ্গের ভিতরের অন্ধকার, কামরার ভিতরও এক অদ্ভুত আঁধার। ঘুটঘুটে সেই অন্ধকারে তখন ঘটে গেল সেই অভাবিত ঘটনা। এক পুরুষ সহযাত্রী এক যুবতী যাত্রীকে পিছন থেকে জাপটে ধরলেন এবং জোর করে তাঁকে তুমুল আদর করতে শুরু করে দিলেন তিনি। 'অশ্লীলভাবে' স্পর্শ করতে থাকলেন যুবতীর শরীরের বিভিন্ন অংশ-- তাঁর স্তনে ও নিতম্বে উদগ্র আগ্রহে ও সাবলীলতায় ঘুরে বেড়াতে লাগল পুরুষটির কামস্পর্শ-সন্ধানী বিচিত্রগামী ও বাঙ্ময় সব আঙুল।
কিন্তু এ তো আর অনুমতিক্রমে ঘটা কোনও কামলীলা নয়। খোদ পাবলিক প্লেসে হঠাৎ-বন্ধ-হওয়া মেট্রোর কামরায় এ ঘটনায় চিৎকার করে ওঠে যুবতী। প্রথমে তাতেও দমেন না সেই আশ্চর্য 'অ-দৃশ্য' হেনস্থাকারী। পরে অন্য যাত্রীরাও চিৎকার-চেঁচামেচি করায় শেষ পর্যন্ত তিনি দাঁড়ি টানেন। পরে ওই যুবতীর সাহায্যার্থে এগিয়ে আসেন অন্য সহযাত্রীরা। অবস্থা স্বাভাবিক হলে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
তাজ্জব করে দেওয়া এ ঘটনাটি ঘটেছে ব্রিটেনে। কয়েকদিন আগে রাতে লন্ডনের মেট্রোর এলিজাবেথ লাইনে এই বিভ্রাট ঘটে। ঘণ্টাচারেক সুড়ঙ্গের মধ্যেই আটকে থাকেন শতাধিক যাত্রী। ব্রিটেনের সংবাদসূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধে সাড়ে ৬টা নাগাদ এলিজাবেথ লাইনের ওভারহেড ইলেকট্রিক কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পশ্চিম লন্ডনের ল্যাডব্রোক গ্রোভ এলাকায় সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে পড়ে ট্রেনটি। প্রায় ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সুড়ঙ্গের ভিতরে আটকে থাকেন যাত্রীরা। আর তখনই ওই ছন্দপতন।
