২৫ নভেম্বর ২০২৪, সোমবার, ০৪:৩৫:৪৫ অপরাহ্ন


মার্কিন প্রতিনিধির কাছে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাঝুঁকির কথা জানালেন ঐক্য পরিষদ
ইমা এলিস/ বাংলা প্রেস, নিউ ইয়র্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-১২-২০২৩
মার্কিন প্রতিনিধির কাছে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তাঝুঁকির কথা জানালেন ঐক্য পরিষদ


আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নাগরিকরা নিরাপত্তাঝুঁকিতে রয়েছেন বলে মার্কিন প্রতিনিধি (ডি-এনওয়াই) ও বাংলাদেশ ককাস সদস্য কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং এর আছে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রস্থ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। নির্বাচন ইস্যুকে সামনে রেখে দেশ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বিতাড়নের মনোবাসনা পূরণের জায়গা থেকে কোনো অশুভ তৎপরতা চালাতে না পারে। কোথাও যেন সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনা না সেজন্য সরকারের প্রস্তুত থাকতে হবে বলে জানান ঐক্য পরিষদের নেতারা। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলা সংবাদমাধ্যম বাংলা প্রেস এ খবর জানিয়েছে।

অভিযোগের জবাবে কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং বলেন, সংখ্যালঘু নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রতিটি সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য এবং যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়টিকে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করে। নির্বাচনকালে তো বটেই, সংখ্যালঘু নির্যাতন সমস্যার একটি স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে তিনি মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের অন্য সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলেও আশ্বাস দেন।

গত শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্কের ফ্রেস মিডোজে ঘণ্টাব্যাপী আয়োজিত বৈঠকে এসব বিষয় উঠে আসে। পরে সংগঠনটির যুক্তরাষ্ট্র শাখার সাধারণ সম্পাদক ড. দ্বিজেন ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা ড. দিলীপ নাথের বাড়িতে আয়োজিত সভায় অধ্যাপক নবেন্দু দত্ত, রূপকুমার ভৌমিক, ডক্টর দিলীপ নাথ, ভজন সরকার, ভবতোষ মিত্র, প্রণবেন্দু চক্রবর্তী, সুশীল সিনহা ও ডক্টর দ্বিজেন ভট্টাচার্য মার্কিন কংগ্রেসওম্যানের কাছে বাংলাদেশে ধারাবাহিক চলা সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা তুলে ধরেন। তারা বলেন, এই নির্যাতন কারা করছে, তাদের উদ্দেশ্য কী, এই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস বন্ধ করতে এ পর্যন্ত কোন সরকারের কী ভূমিকা ছিল, সেসব বিষয়েও কংগ্রেসওম্যানকে বলা হয়।

বক্তারা কংগ্রেসওম্যানকে বলেন, তাদের মতে প্রধানত দুই কারণে বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব বিপন্ন হচ্ছে। প্রথমটি হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের সঙ্গে প্রধান দুটি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনৈতিক আঁতাত ও মোর্চা গঠন; আর দ্বিতীয়টি হলো সংখ্যালঘু নির্যাতক ওইসব ধর্মীয় উগ্রপন্থী ও মৌলবাদীদের তোষণ করার জন্য তাদের কখনো বিচারের আওতায় না আনা।

২০০১ -২০০৬ সালের ঘটনা উল্লেখ করে তারা বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর বিএনপি-জামায়াত সরকার যে বর্বর অত্যাচার চালিয়েছিল, সেসব ঘটনার তদন্তের ভিত্তিতে তৈরি রিপোর্টে সরাসরি বিচারযোগ্য ২ হাজার ৬০০ অপরাধীর নাম রয়েছে, যা ২০১১ সালে সাহাবুদ্দীন কমিশন সরকারপ্রধানের কাছে হস্তান্তর করা হয়, তাদেরও কারও বিচার সরকার করেনি, যা সন্ত্রাসীদের সহিংসতার মাধ্যমে দেশ থেকে সংখ্যালঘু বিতাড়নে উৎসাহ জোগাচ্ছে বলেও তারা দাবি করেন।

কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং বলেন, তিনি আন্তরিকভাবে চান বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক, যাতে সংখ্যালঘু নাগরিকসহ দেশের সব নাগরিক নিরাপদে অংশগ্রহণ করতে পারে।