পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প উদ্বোধন শেষে ভাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রেনের টিকেট কাটেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বেলা ১২টা ৫৯ মিনিটে ট্রেনে করে পদ্মা সেতু যাত্রা করেন তিনি। একই সময় পদ্মা সেতুর সড়ক ভাগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহর ও আকাশ পথে হেলিকপ্টার মোতায়েন ছিল। বেলা একটা ১৬ মিনিটে পদ্মা সেতু পার হন প্রধানমন্ত্রী।
ট্রেনে ভ্রমণ কালে বাংলাদেশ টেলিভিশনকে (বিটিভি) দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পদ্মা সেতু নির্মাণ যজ্ঞে যারা শ্রম দিয়েছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বলেছিলেন, বাঙালিকে দাবায়া রাখতে পারবা না। যারা পদ্মা সেতু নির্মাণে বাধা দিয়েছিল, তাদেরকে আমরা বলতে চাই- হ্যাঁ, আমরা পারি।’
এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে মাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়ে সকাল পৌনে ১১টার দিকে মাওয়া পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-যশোর পর্যন্ত রেলপথ চলে গেছে ১৭২ কিলোমিটার। এর শেষ হয়েছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ৮২ কিলোমিটার রেলপথের কাজ। মাওয়া অংশের উদ্বোধনের পর ট্রেনে মাওয়া থেকে ভাঙ্গা যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সেখানে এক সূধী সমাবেশে বক্তব্য রাখার কথা রয়েছে তার।
উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চালানোর প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পন্ন করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, বেলা ১১টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া রেলওয়ে স্টেশনে পদ্মা সেতু সংযোগ প্রকল্পের ঢাকা-ভাঙ্গা অংশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তিনি। এরপর দুপুর পৌনে দুইটায় ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত হওয়ার কথা রয়েছে তার। সেখানে ভাঙ্গা ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় দুপুর দুইটায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হবেন। জনসভা শেষে বিকেল চারটায় সড়কপথে ভাঙ্গা থেকে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হবেন।