২৬ নভেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ০৫:২৯:৫৭ অপরাহ্ন


দুর্যোগ মোকাবেলায় ৫ জেলা প্রশাসককে প্রস্তুতির নির্দেশ
অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-১০-২০২৩
দুর্যোগ মোকাবেলায় ৫ জেলা প্রশাসককে প্রস্তুতির নির্দেশ File Photo


ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে তিস্তা নদীর পানি সমতলে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল সকাল ৯টায় তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি রেকর্ড করা হয়েছে ২৯ দশমিক ৫ মিটার, যা বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার প্রভাবে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধাসহ দেশের উত্তরাঞ্চলীয় এই পাঁচ জেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সাথে তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এই আশঙ্কা প্রকাশ করে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে সংশ্লিষ্ট পাঁচ জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ। গত বুধবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান এই নির্দেশনা দেন। মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনায় বলা হয়, ভারতীয় সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ভারতের উত্তর সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাং ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে তিস্তা নদীর পানি সমতলে দ্রুত বৃদ্ধির ফলে তিস্তা নদী-তীরবর্তী এলাকাসমূহ প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

গত বুধবার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গজলডোবা পয়েন্টে পানি সমতল মধ্যরাত হতে প্রায় ২৮৫ সেমি. বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দোমুহুনী পয়েন্টে গতকাল সকাল হতে প্রায় ৮২ সেমি. বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। গতকাল সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী ডালিয়া পয়েন্টের পানি সমতল ৫১.৩৫ মিটার, যা গতকাল সকাল থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বিকেল নাগাদ বিপদসীমা অতিক্রম করে মধ্যরাত পর্যন্ত বিপদসীমার ৫০ সেমি. ওপর পর্যন্ত উঠতে পারে। গতকাল সকাল ৯টার তথ্য অনুযায়ী তিস্তা নদী কাউনিয়া পয়েন্টের পানি সমতল ২৮.১৫ মিটার যা আজ ভোর নাগাদ বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এমতাবস্থায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অগ্রিম সতর্কতা অবলম্বনসহ পরবর্তী সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীর পানি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম করলেও দুপুরের পর থেকে কমতে শুরু করেছে। নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বন্যা আতঙ্ক কমলেও ভাঙন আতঙ্কে দিন পার করছে তিস্তাপাড়ের মানুষ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, তিস্তার পানি দুপুর পর্যন্ত আরো কিছুটা বেড়ে কমতে শুরু করেছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, বর্তমানে তিস্তার পানি কমে বিপদসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তা মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে।