চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে ফন্টু মণ্ডল (৬০) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ফন্টু মণ্ডল আলমডাঙ্গা উপজেলার পোলবাগুন্দা গ্রামের মৃত ইসলাম মণ্ডলের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার আসামির উপস্থিতিতে ওই রায় দেন।
জানা গেছে, একাধিক নারীর সঙ্গে অবৈধভাবে মেলামেশা করতেন ফন্টু মণ্ডল। বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ চলছিল। সেই কলহের জেরে ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা উপজেলার পোলবাগুন্দা গ্রামের সাবাস বিলে এ ঘটনা ঘটে। ফন্টু মণ্ডল তার স্ত্রী ডালিমা খাতুনকে (৪০) পেঁয়াজ উঠানোর কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে তার লাশ একটি সোলার সেচ পাম্পের পাইপের ভেতর ফেলে দেয়। ডালিমাকে বাড়িতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করে পরিবারের লোকজন। পরদিন ওই সোলার সেচ পাম্পের পাইপের ভেতর লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে জামিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ফন্টু মণ্ডলকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আশিকুল হক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবুল বাসার জানান, আজ ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন বিচারক।
আসামিপক্ষের আইনজীবী হানিফ উদ্দিন বলেন, ওই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।