ভারী বর্ষণে ভারতের সিকিমে তিস্তা নদীতে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় এখন পর্যন্ত ১০ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া ২২ সেনাসহ নিখোঁজ রয়েছেন ৮২ জন।
বুধবার (৪ অক্টোবর) রাতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, বন্যায় অন্তত ১৪টি সেতু ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ৩ হাজারের বেশি পর্যটক আটকা পড়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এস্টার্ন কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বন্যায় লাচেন উপত্যকার তাদের কিছু স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চুংথাং বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার ফলে তিস্তা নদীতে হঠাৎ করে পানির স্তর ১৫ থেকে ২০ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিবৃতি মতে, এর ফলে সিংটামের কাছে বারদাং এলাকায় সেনা ছাউনিতে পার্ক করা সেনাবাহিনীর বেশ কিছু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি ২৩ জন সেনা সদস্য নিখোঁজ হয়েছে এবং কিছু যানবাহন ডুবে গেছে। উদ্ধার অভিযান চলছে।
সিকিমে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাতভর ভারী বর্ষণ হয়েছে। অতি বৃষ্টিপাতের কারণে সিকিমের উত্তরাঞ্চলের লোনাক হ্রদ উপচে পড়ে। ফলে হঠাৎ করেই তিস্তা নদীর পানির স্তর বেড়ে যায়। তিস্তা নদী সিকিম ও পশ্চিমবঙ্গের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
আকস্মিক বন্যার ঘটনায় সিকিম প্রশাসন স্থানীয় অধিবাসীদের জন্য উচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, সড়কগুলো পানিতে ভেসে গেছে। নদীতে জলোচ্ছ্বাসের মতো পরিস্থিতি।
সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত একটি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বন্যায় কেউ আহত হয়নি। তবে সরকারি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সিংটামে কিছু লোক নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ত্রাণ তৎপরতা চলছে।’
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, সিকিমের চুংথাং হ্রদ উপচে পড়ায় তিস্তা নদীতে পানি বেড়েছে। বলা হয়েছে, ‘গজলডোবা, দোমোহনী, মেখলীগঞ্জ ও ঘিশের মতো নিচু এলাকাগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এসব এলাকার মানুষ সতর্ক থাকুন।