ফের পাকিস্তানের বালোচিস্তান প্রদেশে আত্মঘাতী বোমা হামলা। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর), সকালে বালোচিস্তানের এক মসজিদের কাছে এই আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। বিস্ফোরণে এক পাক পুলিশ কর্তা-সহ অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে এই ঘটনায় আরও ৭০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
তাদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। তাই, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাক সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বালোচিস্তানের মাস্তুং জেলার আল-ফালাহ মসজিদের কাছে এদিন ইদের মিছিল উপলক্ষে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। আচমকা ওই আত্মঘাতী জঙ্গি ভিড়ের দিকে এগিয়ে এসে বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। মুহূর্তে ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।
পাক সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বালোচিস্তানের মাস্তুং জেলার আল-ফালাহ মসজিদের কাছে এদিন ইদ-ই-মিলাদুন নবির মিছিল উপলক্ষে বহু মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। আচমকা ওই আত্মঘাতী জঙ্গি ভিড়ের দিকে এগিয়ে এসে বিস্ফোরণে নিজেকে উড়িয়ে দেয়। মুহূর্তে ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। বিস্ফোরণে বালোচ পুলিশ বিভাগের এক ডেপুটি সুপার পদমর্যাদার কর্তারও মৃত্যু হয়েছে। বালোচিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন তথ্যমন্ত্রী জান আচাকজাই জানিয়েছেন, বিস্ফোরণস্থলে ইতিমধ্য়েই পৌঁছে গিয়েছে উদ্ধারকারী দল। হতাহতদের সকলকেই নিকটবর্তী হাসপাতালগুলিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রদেশের সব হাসপাতালেই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের কোয়েটার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে। জান আচাকজাই বলেছেন, "বিদেশি মদতে বালোচিস্তানে ধর্মীয় সহনশীলতা ও শান্তির পরিবেশ বিনষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।"
মাস্তুংয়ের সহকারী কমিশনার আত্তাহুল মুনিম জানিয়েছেন, মিছিলের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল ডিএসপি গিশকোরির গাড়ি। আত্মঘাতী বোমারু ঠিক ডিএসপির গাড়ির পাশে এসেই বিস্ফোরণ ঘটায়। বিস্ফোরণস্থলের বেশ কিছু ছবি এবং ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ছবি-ভিডিয়োতে বেশ কয়েকটি রক্তাক্ত দেহ মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে বেশ কিছু কটা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ আহমেদ বুগতি বলেছেন, “সন্ত্রাসবাদীদের কোনও ধর্ম হয় না।”