ইসরাইলে এক আরব পরিবারের পাঁচ সদস্যসহ মোট ছয়জনকে গুলি করে হত্যা করেছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলে আরব জনগোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ইসরাইলের উত্তরাঞ্চলের বাসমত তাবুন শহরে গুলিতে এক আরব পরিবারের পাঁচ সদস্য নিহত হয়েছেন।
এক বিবৃতিতে পুলিশ জানিয়েছে, নাজারেথের উত্তর-পশ্চিমে বাসমত তাবুন শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে তিন পুরুষ ও দুই নারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় অঞ্চলজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। নির্বিচারে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি পুলিশ।
একইদিনে হাইফাত শহর আরও এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করেছে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পরপরই পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একদিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয় শহরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। শহরজুড়ে জারি করা হয় জরুরি অবস্থা।
হামলার জন্যও তেল আবিবকে দায়ী করেছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি ইসরাইলি বাহিনী।
সাম্প্রতিক বছর গুলোতে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রসন বেড়েছে আগের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যমতে, পশ্চিমতীরসহ বিভিন্ন শহরে অভিযান চালিয়ে এ বছর এখন পর্যন্ত অন্তত ১৮৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইলি বাহিনী।
সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় নিউইয়র্কে ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তি আলোচনার উদ্যোগের বিভিন্ন সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশের পর থেকেই নতুন করে আবারও অভিযান জোরদার করেছে তেল আবিব। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, শান্তি আলোচনা ভেস্তে দিতেই তারা এ পন্থা অবলম্বন করেছে।