গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই খবরে রয়েছেন অভিনেত্রী, তৃণমূলের সাংসদ নুসরত জাহান। কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে তাঁর। ইতিমধ্যে একবার ইডি-র মুখোমুখিও হয়েছেন। মঙ্গলবারই সিজিও কমপ্লেক্সে ৬ ঘণ্টার জেরা সামলেছেন। তবে নুসরত কিন্তু এখনও ‘আত্মবিশ্বাসী’। জানিয়েছিলেন, ‘সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। সবরকম সহযোগিতা করেছি। আবার যদি ডাকে, আবারও আসব। সব নথি দিয়েছি।’
এখন তাঁর মুখে হঠাৎই ‘সত্য উদঘাটন’-এর কথা। ইনস্টা স্টোরিতে একটি কোট শেয়ার করেছেন তিনি। যাতে লেখা আছে, ‘সত্য চিরন্তন। হতে পারে পরিস্থিতির কারণে রং চড়িয়ে তা বিকৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে সত্য উদঘাটন হবেই। আর যারা এই সত্যটা অগ্রাহ্য করবে তারা একদিন না একদিন ধ্বংস হবেই।’
তা এই ‘সত্য উদঘাটন’-এর সঙ্গে কি আদৌ কোনও সম্পর্ক আছে নুসরতের এই দুর্নীতি মামলার। বা সদ্য সেরে আসা ইডি জেরার!
মঙ্গলবার ইডির দফতর থেকে বেরিয়া উপস্থিত সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নেরই কোনও জবাব দেননি নুসরত। বরং সোজা গাড়িতে উঠে যান। তবে সবাইকে অবাক করে তাঁর গাড়ি সেই সময় বাড়ি নয়, গিয়ে থামে এক হনুমান মন্দিরের সামনে। পুজো দিতে চলে যান নুসরত। তারপর প্রসাদও বিতরণ করেন মন্দিরের বাইরে উপস্থিত সকলকে। অনেকের মনেই যা দেখে প্রশ্ন আসে, ভয় পেয়েই কি ভগবান দর্শনে হাজির হয়েছিলেন?
যদিও নুসরতের জবাব ছিল, তিনি শনি আর মঙ্গলবার করে মন্দিরে পুজো দেন। এর সঙ্গে ইডি-র জেরার কোনও সম্পর্ক নেই।
সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার অধিকর্তা তথা ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত বছরখানেক আগে। ২০১৪ সালে তাঁর সংস্থা ৪২৯ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নিয়েছিল ৩ বিএইচকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে। কিন্তু ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ ফ্ল্যাট হাতে পায়নি। না হাতে পেয়েছে টাকা। নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেন, অবসরপ্রাপ্ত ব্যঙ্ক কর্মীদের টাকা মেরে তিনি নিজের ফ্ল্যাট কিনেছেন। এরপর বিজেপির যুব নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা প্রতারণার শিকার হওয়া বৃদ্ধদের নিয়ে ইডি দফতরে গিয়ে নালিশ জানিয়ে এসেছিলেন।
নুসরতের যদিও দাবি, তিনি ইতিমধ্যেই ওই কোম্পানি ছেড়ে দিয়েছেন। আর কোম্পানিতে থাকাকালীনও তিনি লোন হিসেবেই টাকা তুলেছিলেন। যার সব নথি তাঁর কাছে রয়েছে। এখন দেখার ইতি আদৌ সন্তুষ্ট হন কি না অভিনেত্রীর দেখানো কাগজপত্রে।