০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, মঙ্গলবার, ১১:২২:০৬ অপরাহ্ন


কমেছে ক্ষুদ্র শিল্পে ঋণ বিতরণ
অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৮-২০২৩
কমেছে ক্ষুদ্র শিল্পে ঋণ বিতরণ ফাইল ফটো


ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর শিল্প খাতে ঋণ বিতরণ কমেছে। পাশাপাশি আদায়ের পরিমাণও কমেছে।  সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক মার্চে শিল্পখাতে ঋণ বিতরণ কমেছে ১২ দশমিক ১৬ শতাংশ। ডিসেম্বরে এ খাতে ঋণ বিতরণ করা হয় এক লাখ ৪৯ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা। যা মার্চে এসে দাঁড়িয়েছে এক  লাখ ৩১ হাজার ৪৬৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ তিন মাসের ব্যবধানে কমেছে ১৮ হাজার ২০৫ কোটি টাকা।

শিল্প খাতে দেওয়া ঋণের বিপরীতে আদায় কমেছে প্রায় ৩৪ শতাংশ। ডিসেম্বরে আদায় হয়েছিল এক  লাখ ৫৭ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা যা এ বছর মার্চে এসে দাঁড়ায় এক লাখ চার হাজার ৪৮৫ কোটি টাকায়।

তথ্যে বলা হয়, চলতি মার্চে বৃহৎ শিল্পখাতে ঋণ বিতরণ করা হয় ১২ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা। যা ডিসেম্বরের তুলনায় পাঁচ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা কম। গেল বছরের শেষ প্রান্তিকে এ খাতে ঋণ দেওয়া হয় ১৯ হাজার ৮০৮ কোটি টাকা। ক্ষুদ্র শিল্পে গেল ডিসেম্বরের প্রান্তিকে ঋণ বিতরণ করা হয় সাত হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা। যা চলতি বছর মার্চে কমে দাঁড়ায় তিন হাজার ৯২৯ কোটি টাকা। তিন মাসের তুলনায় কমেছে তিন হাজার ৫৭০ কোটি টাকা। তবে ব্যতিক্রম ছিল মাঝারি শিল্পখাত। এ খাতে চলতি মার্চে বিতরণ করা হয়েছে দুই হাজার ৬০২ কোটি টাকা যা আগের প্রান্তিকের তুলনায় ৩৩৬ কোটি টাকা বেশি। ডিসেম্বরে এ খাতে দুই হাজার ২৬৬ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়।

এছাড়া একই সময়ে ঋণ বিতরণের পাশাপাশি ঋণ আদায়ও কমেছে। গেল ডিসেম্বর প্রান্তিকে বৃহৎ শিল্পে ঋণ আদায় হয় ২১ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। যা মার্চে এসে কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা বা ৩৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ। মাঝারি শিল্পে ঋণ আদায় কমেছে ৩১ দশমিক ২৬ শতাংশ।

এ খাতে ডিসেম্বরে আদায় হয় তিন হাজার সাত কোটি টাকা যা মার্চে কমে অবস্থান করছে দুই হাজার ৬৭ কোটি টাকায়। ক্ষুদ্র শিল্পখাতে ঋণ আদায় কমেছে সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ। ডিসেম্বরে ক্ষুদ্র শিল্পে ঋণ আদায় হয় ২৫ হাজার ৭০৪ কোটি টাকা। যা মার্চে আদায় কমে দাঁড়ায় দুই হাজার ৬৫৩ কোটি টাকায়।

এদিকে, দেশে এখনো প্রধান কর্মসংস্থান হয় ক্ষুদ্র শিল্পে। সেই ক্ষুদ্র শিল্প সংকুচিত হলে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ার শঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।