বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন (ডিএসএ) পরিবর্তিত হয়ে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩ হচ্ছে। এ আইনে হ্যাকিংয়ের সাজা রাখা হয়েছে ১৪ বছরের কারাদণ্ড।
সোমবার (৭ আগস্ট) খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এরপর সচিবালয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নাম ও ধারা সংশোধন ইস্যুতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আইনমন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভায় সাইবার নিরাপত্তা আইন নামে নতুন একটি আইনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হয়নি, পরিবর্তন করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যেগুলো সাইবার নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো পরিবর্তন করা হয়নি। চলতি সেপ্টেম্বরে পার্লামেন্টে এ আইন উত্থাপন করা হবে এবং পাস করা হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহারের বিষয়টি মাথায় রেখেই এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। এতে হ্যাকিংয়ের সাজা ১৪ বছরের কারাদণ্ড রাখা হয়েছে।
এ সময় তিনি বলেন, ‘বিতর্কিত ধারাগুলো সংশোধন করে সন্নিবেশিত হবে সাইবার নিরাপত্তা আইনে। ‘সাইবার সিকিউরিট অ্যাক্ট নামে একটি আইন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করা হচ্ছে, কিন্তু বাতিল না। এখানে অনেক রকম পরিবর্তন করা হবে। অর্থাৎ বেশ কিছু ধারা ও নাম পরিবর্তন করা হচ্ছে।’
এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৪, ৫৫, ৫৬, ৫৭ ও ৬৬-সহ মোট ৫টি ধারা বিলুপ্ত করে ২০১৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ পাস হয়। এরপর থেকেই এই আইন বাতিল ও সংশোধন চেয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে বিভিন্ন মহল।
এরইমধ্যে বাংলাদেশে বিপুলসংখ্যক সাংবাদিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। এই আইন ও এর প্রয়োগ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর। সম্প্রতি ঢাকা সফরে সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
গত ২৫ জুলাই সচিবালয়ে ইইউর বিশেষ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, জিডিটাল নিরাপত্তা আইনে সংশোধনী আসছে।
মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এটার জন্য একটু অপেক্ষা করতে হবে। আমি মনে করি, আপনাদের পরামর্শ সরকারের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমি এটুকু বলতে পারি— ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের যে সংশোধন হচ্ছে তাতে আপনারা সবাই খুশি হবেন।’