বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিলেন ব্রাজিলের হোসে পলিনো গোমেজ। আর মাত্র ৭ দিন পরই ১২৮ বছরে পা দিতেন তিনি। কিন্তু তার আগেই ১২৭ বছর বয়সে পরপারে পাড়ি জমালেন তিনি।
গত শুক্রবার (২৮ জুলাই) কোরেগো ডেল ক্যাফে এলাকায় নিজ বাড়ি তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে গোমেজ ৭ সন্তান ও ২৫ জন নাতি-পুতি রেখে গেছেন।
পেশায় গোমেজ ছিলেন একজন পশুপালক। সহজ-সরল জীবন ও বিনয়-নম্রতার জন্য খ্যাত ছিলেন তিনি। প্রকৃতির সঙ্গে থাকতে পছন্দ করতেন। খাবারের ক্ষেত্রে শিল্পজাত পণ্যের বদলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত খাদ্য খেতেন তিনি।
১৯১৭ সালে বিয়ে করেন গোমেজ। বিয়ের প্রত্যয়নপত্র অনুযায়ী, তার জন্ম ১৮৯৫ সালের ৪ আগস্ট। তার এই বয়স সঠিক হলে দুই দুইটি বিশ্বযুদ্ধের পাশাপাশি তিনটি মহামারি দেখেছেন তিনি।
বরাবরই শারীরিকভাবে সক্ষম ছিলেন গোমেজ। এমনকি এখন থেকে ৪ বছর আগেও ঘোড়ায় চড়ে দাপিয়ে বেড়াতেন। কয়েক বছর আগে তার শরীর ভেঙে পড়ে। একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যায়।
হোসে পলিনো গোমেজ মারা যাওয়ার পর বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মানুষ বর্তমানে স্পেনের মারিয়া ব্রায়ানিয়াস মোরেরা। বর্তমানে তার বয়স ১১৫ বছর।
গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডের রেকর্ড অনুসারে, বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘজীবন অতিবাহিত করা মানুষটির নাম জেন ক্লেমেন্ত। ১৯৯৭ সালে ১২২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ফ্রান্সের এই নারী।
পলিনো গোমেজের নাতনি এলিয়েনে ফেরেইরা’র অবশ্য বিশ্বাস তার দাদার বয়স ১২৭ বছরের বেশি। তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রামের দিকে সঠিকভাবে জন্মতারিখ নিবন্ধিত হয় না।’
‘অনেকেই তার প্রকৃত জন্ম সাল ও তারিখ গোপন করেন। তাই আমি মনে করি, বিয়ের নিবন্ধনে দাদার যে জন্মসাল দেয়া হয়েছে, তার চেয়েও অন্তত ২-৩ বছর আগে তার জন্ম হয়েছিল।’