তিনদিন আটকে ছিলেন লিফটে। এরপর সেখানেই মৃত্যু হয় ৩২ বছর বয়সি এক নারীর। মর্মান্তিক ও করুণ এ ঘটনাটি ঘটেছে উজবেকিস্তানের তাসখন্দে।
মিররের প্রতিবেদন মতে, ৬ বছরের সন্তানের মা ওলগা লেওনতিয়েভা একটি ৯ তলা বাড়ির একেবারে ওপরের তলায় লিফটে আটকে পড়েছিলেন। বাঁচাও-বাঁচাও বলে চিৎকার করলেও কারও কানে পৌঁছায়নি সেই আওয়াজ। অতঃপর সেখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
প্রতিবেদন মতে, গত মাসের ২২ জুলাই বাড়ি থেকে বের হন ওলগা। এরপর দু’দিন পেরিয়ে গেলেও বাড়ি ফেরেননি। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না তাকে। গত ২৪ জুলাই থানায় মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানান ওলগার মা-বাবা। এরপরই শুরু হয় অনুসন্ধান।
এক পর্যায়ে খবর পাওয়া যায় একটি বহুতল ভবনের লিফটের মধ্যে পাওয়া গেছে ওলগার নিথর দেহ। জানা যায়, কোনো একটি কাজে ওই ভবনের একেবারে ওপরের তলায় গিয়েছিলেন ওলগা। নামার পথে লিফট আটকে যায়। এরপর থেকে টানা তিনদিন ওই লিফটেই আটকে পড়ে থাকেন তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, বারবার চিৎকার করে বাঁচানোর আবেদন করেছিলেন ওলগা। কিন্তু সেই চিৎকার কারও কানে প্রবেশ করেনি। ওলগার একটি ৬ বছরের মেয়ে রয়েছে। তাকে আপাতত আত্মীয়রাই দেখভাল করছেন।
এদিকে কীভাবে ওলগা লিফটে আটকে পড়েছিলেন, তা বের করতে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্থানীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা জানিয়েছে, এক মুহূর্তের জন্যেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়নি। ফলে বিদ্যুতের অভাবের কারণে লিফট আটকে যাওয়ারও কোনো কারণ নেই।
লিফটটি তৈরি করেছে একটি চীনা সংস্থা। প্রাথমিকভাবে সরকারি ইঞ্জিনিয়ররা মনে করছেন, লিফটের অভ্যন্তররীণ গোলযোগের কারণেই তা মাঝপথে আটকে যায়। একই কথা বলছেন আশপাশের লোকজনও। তবে এর আগে এমন ঘটনার কথা মনে করতে পারছেন না কেউই।
গত সপ্তাহে ইতালিতেও প্রায় একই ঘটনা ঘটে। সেখানে লিফটে আটকে পড়ে মৃত্যু হয় ৬১ বছরের এক প্রবীণ নারীর। তবে তার ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে লিফট আটকে পড়েছিল। দীর্ঘ ক্ষণ আটকে থাকা অবস্থায় থাকার পর তার মৃত্যু হয়।