সোমবার ভোর রাতে চলন্ত জয়পুর-মুম্বই এক্সপ্রেসে মধ্যে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে তিন জন যাত্রী-সহ মোট চার জনকে মেরে ফেলেন রেল সুরক্ষা বাহিনীর (RPF) এক জওয়ান। ওই চারজনের মধ্যে চতুর্থ ব্যক্তি হলেন আরপিএফেরই একজন সাব ইনস্পেক্টর। বাকি তিন যাত্রী ছিলেন মুসলিম।
এর পরে ফের গতকাল বিকেলে একটি ধর্মীয় মিছিলকে আটকানোর অভিযোগে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে হরিয়ানার নুহ্ এবং গুরুগ্রাম জেলায়। উল্লেখ্য, হরিয়ানার বজরং দল কর্মী মনু মানেসারকে কেন্দ্র করেই সেখানের নুহ্ এবং গুরুগ্রাম জেলায় গতকাল হিংসা ছড়ায়।
গত ফেব্রুয়ারিতে ভিওয়ানিতে দুই মুসলিম যুবককে খুন করার ঘটনায় মনু পলাতক। সেই মনু ভিডিও পোস্ট করে দাবি করেছিল এই ধর্মীয় মিছিলে সে থাকবে। এই আবহে গুরুগ্রাম আলওয়ার হাইওয়েতে এই যাত্রা আটকান কয়েকজন। তারপরেই ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। মিছিলকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। রাস্তায় গাড়ি ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। মসজিদ লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবারের সংঘর্ষে প্রাণ গেছে চার জনের, অন্তত ৬০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কারও কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের মধ্যে অনেকেই পুলিশকর্মী।
এই দুই ঘটনাকেই জুড়ে দেখতে চেয়েছেন রাহুল। তাঁর কাছে, এসবই সাম্প্রদায়িক ঘৃণার ফসল, যার জন্য দায়ী ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের বৈষম্যমূলক শাসন। সেদিকেই ইঙ্গিত করে তিনি ‘ঘৃণার কেরোসিন’ ছড়ানোর কথা লিখেছেন।